cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে বেড়েছে বৃষ্টি। সুরমা’র পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টি বাড়তে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, সিলেটে বৃষ্টি বাড়লেও ভা’রতের আসাম ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি না হলে উৎকণ্ঠার কিছু নেই। অন্যদিকে বুধবার (২৯ জুন) ভোরে বৃষ্টি হলেও সকাল ৮টায় রোদের দেখা মিলেছে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি উপজে’লায় সোমবার রাত থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিলো। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমা’র ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এর মধ্যে কানাইঘাটে সুরমা বিপৎসীমা’র ৬১ সেন্টিমিটার, আমলসীদে কুশিয়ারা বিপৎসীমা’র ১২৮ সেন্টিমিটার, শেওলায় কুশিয়ারা ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
অন্যদিকে, সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ছে। নগরীর মাছিমপুরের বাসিন্দা সুনীল সিংহ জানান, পানি মাত্র উঠান থেকে নেমেছে। মঙ্গলবার রাতে পুনরায় উঠে গেছে। রাত পর্যন্ত ভা’রী বৃষ্টি হচ্ছিলো।
নগরীর তালতলা, কালিঘাট, লাল দিঘির পাড়ের হকার্স মা’র্কে’টে বিভিন্ন দোকানে ভা’রী বর্ষণে পানি ঢুকে পড়ে।
সিলেট সদর উপজে’লার মোগলগাও ইউনিয়নের চেঙ্গেরখাল নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দা সাকিব আহম’দ বলেন, ব’ন্যার পানি রাস্তা থেকে নেমে গিয়েছিলো। গতকাল মঙ্গলবার থেকে পুনরায় পানি বাড়ছে। তবে চলমান ব’ন্যার মতো এত দ্রুত বাড়ছে না।
এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও প্লাবিত এলাকায় ব’ন্যার পানি কয়েক দিন ধরে একই অবস্থায় আছে। দক্ষিণ সুরমা উপজে’লার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ঘরে ও রাস্তায় এখনো পানি রয়েছে। যেভাবে পানি কমছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগতে পারে।
উজানে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকায় দক্ষিণ সুরমা’র মোগলা বাজার—ঢাকা দক্ষিণ সড়ক এবং ব্যস্ততম সিলেট—সুলতানপুর সড়কের চন্ডিপুল ও ধোপাঘাট, সিলাম কলাবাগান, জালাল পুরের প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া দক্ষিণ সুরমা’র রেল গেট এলাকা থেকে লাউয়াই পর্যন্ত বঙ্গবীর রোডের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহম’দ চৌধুরী বলেন, সোমবার থেকে সিলেটে বৃষ্টি বাড়ছে। সোমবার ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও মঙ্গলবার বৃষ্টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ মিলিমিটারে। আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত এভাবে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে বলে জানান তিনি।
পাউবো, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, ভা’রতের আসাম ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত না হলে ব’ন্যার সম্ভাবনা নেই। কিছু কিছু এলাকায় পানি বেড়েছে তবে তা খুব বেশি নয়। সিলেটের সার্বিক ব’ন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিলেটের জে’লা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ভা’রী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সুরমা’র পানিও কিছুটা বেড়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।