cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ভ’য়াবহ ব’ন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হচ্ছে। সিলেটে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৮১৯টি পরিবারের ২১ লাখ ৮৭ হাজার ২৩২ জন সদস্য কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জে’লায় প্রা’ণিসম্পদ খাতে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। হবিগঞ্জে ব’ন্যায় ভেসে গেছে ৮ হাজার পুকুরের মাছ যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গাইবান্ধায় নামছে বানের পানি নামা’র সঙ্গে বাড়ছে নদীভাঙন। আমাদের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
সিলেট : চলমান ব’ন্যায় রোববার পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের আংশিক এলাকা, জে’লার ১৩টি উপজে’লা ও ৫টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯৯টি ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সব মিলিয়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৮১৯টি পরিবারের ২১ লাখ ৮৭ হাজার ২৩২ জন সদস্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব’ন্যায়।
সিলেট জে’লা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২২ হাজার ৪৫০টি ঘরবাড়ি ব’ন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৮ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমির ফসল পড়েছে ক্ষতির মুখে। ব’ন্যাকবলিত এলাকার জন্য এখন অবধি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৪১২ মেট্রিক টন চাল, ১৩ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জে’লা প্রশাসন থেকে জানা গেছে।
সিলেটে ভ’য়ঙ্কর ব’ন্যায় পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে ঘাস, খড়ের। এ কারণে বেশ ক্ষতি ও সঙ্কটের মুখে পড়েছেন কৃষক ও খামা’রিরা। আকস্মিক এই ব’ন্যায় সিলেট জে’লায় প্রা’ণিসম্পদ খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকাÑ সংশ্লিষ্টরা এমনটাই দাবি করেছেন।
এবারের ব’ন্যায় সিলেট জে’লায় প্রায় ৮০ ভাগ এলাকাই তলিয়ে যায়। ব’ন্যার পানিতে হাজার হাজার হাঁস-মুরগি এবং বেশ কয়েকটি গরু-ছাগল মা’রা গেছে। হাজার হাজার টন খড় পানির স্রোতে ভেসে গেছে ও পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
সিলেট জে’লা প্রা’ণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, ব’ন্যায় সিলেটে প্রা’ণিসম্পদ খাতে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৭ হাজার ৩৫৪ একর চারণভূমি প্লাবিত হয়েছে ব’ন্যায়। এখনও বেশিরভাগ চারণভূমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। ব’ন্যায় ৭২১টি গবাদিপশুর খামা’র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট জে’লায়।
এক্ষেত্রে ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এদিকে ৩৬৮টি হাঁস-মুরগির খামা’র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ জে’লায় ২ হাজার ৯১ মেট্রিক টন খড় বিনষ্ট হয়েছে ব’ন্যার পানিতে; যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ২ হাজার ৯৮২ মেট্রিক টন ঘাস পচে নষ্ট হয়ে গেছেÑ এখানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন থেকে সিলেটে ব’ন্যা দেখা দেয়। এ ব’ন্যা দুদিন পরই ভ’য়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। ব’ন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয় পুরো জে’লার ৮০ শতাংশ এলাকা।
হবিগঞ্জ : ব’ন্যায় হবিগঞ্জ জে’লার চারটি উপজে’লায় প্রায় ৮ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া পুকুরের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে ৫ হাজার ৮৫৩ খামা’রির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গতকাল জে’লা মৎস্য কর্মক’র্তা মো. নজরুল ইস’লাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, জে’লার ৯টি উপজে’লার মধ্যে ৪টি উপজে’লার মৎস্য খামা’রিদের ব’ন্যার পানিতে বেশি ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। তন্মধ্যে আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ ও লাখাইয়ে ব’ন্যার পানিতে মাছের খামা’র ভেসে গেছে।
বানিয়াচং উপজে’লার কাটখাল গ্রামের লন্ডন প্রবাসী খান ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড ফিশারির মালিক মা’ওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, খামা’র থেকে বানের জলে ভেসে গেছে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ।
তিনি জানান, যারা মাছ চাষ করেছে এমন কারও পুকুর অক্ষত নেই। গবাদিপশুর দেখা দিয়েছে খাদ্য সমস্যা। গ্রামের সবাই দেশি ষাঁড় ও গাভি পালন করেন প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে। কিন্তু তৃণভূমি ও ধানের খড়ের স্তূপ পানির নিচে চলে যাওয়ায় খাবার সমস্যায় সবাই দিশেহারা।
গাইবান্ধা : তিস্তা ছাড়া গাইবান্ধার সবকটি নদ-নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি কমে বিপদসীমা’র ৩৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার নতুন করে জে’লার আর কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। পানি কমতে থাকায় গাইবান্ধায় উন্নতি হচ্ছে সার্বিক ব’ন্যা পরিস্থিতির।
তবে নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে এখনও পুরোপুরি পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি এসব এলাকার ব’ন্যাকবলিত মানুষের। এ ছাড়া এখনও স্বাভাবিক হয়নি জে’লার চার উপজে’লার চর নিম্নাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় নিজেদের খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যসঙ্কট নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের ব’ন্যাকবলিত এসব পরিবার।
অন্যদিকে ব’ন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামা’র সঙ্গে সঙ্গে নদীতীরবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙন। অনেকেই বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যাদের সাম’র্থ্য আছে তারা বিভিন্ন উঁচু এলাকায় চলে যাচ্ছেন, তবে নিতান্তই যাদের উপায় নেই, নিয়তিই তাদের একমাত্র ভরসা।