সর্বশেষ আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে মোমেন আরিফের সামনে নতুন ‘চ্যালেঞ্জ’

ব’ন্যায় ডুবলো সিলেট নগর। এ নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। চলছে বিতর্কও। এত বছরেও নগরে শহর বাঁধ নির্মাণ হলো না। ২০০৪ সালেও ডুবে গিয়েছিল নগর। তখনো একই দাবি উঠেছিল।

সুরমা ভরাট, ছড়া-খাল দখলের অ’ভিযোগ উঠেছিল। এতো বছরেও কেনো কাজ হলো না। সুরমা নদী খনন, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ছড়া-খাল উ’দ্ধার জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম প্রতিশ্রুতি থাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই সমস্যাগুলোর ব্যাপারে

কিন্তু কোনো কাজ হলো না। এবার ব’ন্যায় নগর ডুবে যাওয়ায় ফের উঠে এসেছে পুরনো বিতর্ক। সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে। বলা হচ্ছে- ছড়া ও খাল উ’দ্ধার হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন পরিস্থিতি। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছড়া ও খাল শতভাগ উ’দ্ধার করতে পারেননি।

তবে, জলাবদ্ধতার পানি অ’পসারণের পথ সহ’জ হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় না নগর। খনন করা হয়নি ছড়া কিংবা খাল। কোথাও কোথাও খালের উপর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো অ’পসারণ করা সম্ভব হয়নি।

অ’ভিযোগ উঠেছে- শহরের বর্জ্য ও পলিথিনে ভরাট হয়ে গেছে ছড়া ও খাল। নদীর পানি উপচালেই পানি ধারণের ক্ষমতা নেই ছড়া ও খালের। এতে করে সহ’জেই ডুবে যায় বাসাবাড়ি। সুরমা নদী খনন করার কথা অনেক আগে থেকেই উঠেছে। শুস্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায় সুরমা। হেঁটে পাড়ি দেয়া যায় সুরমা। এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে- উৎসমুখ ভরাট হয়ে গেছে।

এছাড়া নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। সুরমায় পানি ধারণের ক্ষমতা কমে এসেছে। নগরের দীঘি ও জলা’শয় ছিল পানি ধারণের অন্যতম উৎস। কিন্তু ধীরে ধীরে দীঘিও ভরাট হয়ে গেছে। লালদীঘি, মাছুদীঘি, চারাদীঘিসহ নগরের বড় বড় কয়েকটি দীঘির অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। কোনো কোনোটির অস্থিত্ব পুরো শেষ হয়ে গেছে। দীঘি ভরাট হয়ে যাওয়া সিলেট নগরীর বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

নগরের শাহপরান সেতু থেকে কুমা’রগাঁও পর্যন্ত নগরের ভেতরে সুরমা নদী প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকা। এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণের দাবি অনেক পুরনো। শহর রক্ষা বাঁধ হলে হঠাৎ ঢলে তলিয়ে যাবে না সিলেট নগর। এই দাবি গত দুই দশক ধরে জো’রালো হলেও কেউ নজর দেননি।

তবে, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করেন। এতে করে নদীর তীরে হাঁটার রাস্তা করা হয়েছে। কিন্তু এবারের ঢলে অনেক স্থানে হাঁটার রাস্তাও তলিয়ে গেছে।

এবার সিলেট নগরের ১২টি এলাকা তলিয়ে যাওয়ার পরদিনই গত সপ্তাহে সিলেট সফর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। হঠাৎ ঢলে নগর তলিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনিও ৩টি কারণ উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে নদী খনন, বাঁধ নির্মাণ, ছড়া ও খাল উ’দ্ধার। একইসঙ্গে জলা’শয় বা দীঘি দখলের কথাও উল্লেখ করেন।

গত রোববার সিলেট সিটি করপোরেশনের দু’র্যোগ বিষয়ক সভায় ঢাকা থেকে প্রযু’ক্তির মাধ্যমে সংযু’ক্ত হন। এখানেও তিনি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে সার্ভে করার নির্দেশনাও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সিলেট নগরকে হঠাৎ ঢলের পানি থেকে রক্ষা করতে সুরমা নদীকে খননের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, সুরমা’র তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। শহর এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষা না করলে ব’ন্যার কবল থেকে নগরকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এজন্য তিনি অচিরেই প্রস্তাবনা পাঠাবেন। এছাড়া, নগরের জলা’শয় ও দীঘি উ’দ্ধার এবং খাল খননের কথাও বলেন তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আ’ন্দোলন সিলেট জে’লার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কী’ম জানিয়েছেন, গত দেড় দশক ধরে আম’রা সুরমা খননের দাবি জানিয়ে আসছি। খননের জন্য এখন পর্যন্ত ৪বার সমীক্ষা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি বলেন, সুরমা খননের ব্যাপারে সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন কখনো আগ্রহ দেখাননি।

এবারের ব’ন্যার পর বাস্তবতা উপলব্ধি করে তিনি খননের কথা বলছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছেও একই দাবি জানানো হয়েছিল। তবে, সুরমা খননে পানি উন্নয়ন বোর্ড সবসময় আগ্রহী রয়েছে।

এদিকে, এবার সিলেট নগর ব’ন্যা কবলিত হওয়া প্রসঙ্গে নদী খনন ও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করাকেই দায়ী করেছেন পানি উন্নয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহম’দ। তিনি জানিয়েছেন, সুরমা নদী খনন ও শহর রক্ষা বাঁধ দিলে হঠাৎ ঢলে নগর তলিয়ে যাবে না।

এদিকে, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নগর রক্ষার দাবি উঠেছে সিলেটে। এতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন মন্ত্রী ও মেয়র দু’জন। নগরবাসী বলছেন, নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণ করা এখন মন্ত্রী ও মেয়রের জন্য চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ- এক সপ্তাহের পাহাড়ি ঢলে ক্ষতি হয়েছে শত কোটি টাকার। বিশেষ করে ব’ন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। পানি কমলে দেখা দিতে পারে নদী ভাঙনও। সৌজন্যঃ মানবজমিন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: