সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন স্ত্রী

সিলেটে পু’লিশ ফাঁড়িতে নি’র্যা’তনে নি’হত রায়হান আহম’দ হ’ত্যা মা’মলায় আ’দালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এই মা’মলার বাদি ও নি’হতের স্ত্রী’ তাহমিনা আক্তার তান্নি।

বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আ’দালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনি। এদিন রায়হানের মা সালমা বেগম এবং চাচা শশুড়ের সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আ’দালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আজ কেবল মা’মলার বাদি সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু আ’সামিপক্ষ প্রস্তুতি না থাকার কারণ দেখিয়ে আজ তাকে জেরা করেননি। আ’দালতে তাদের একদিনের সময় দিয়েছেন। আগামীকাল বুধবার বাদীকে জেরা করবেন আ’সামিপক্ষের আইনজীবী।

তিনি বলেন, আজ আরও দুজন সাক্ষী প্রদানের কথা থাকলেও আ’সামির জেরা সম্পন্ন না হওয়ায় তাদের সাক্ষ্য হয়নি। আগামীকাল জেরার পর হতে পারে।

এরআগে মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই মা’মলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও এক আইনজীবীর মৃ’ত্যুতে তা পিছিয়ে যায়।

বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণকালে এই মা’মলার আ’সামি বরখাস্তকৃত উপ পু’লিশ পরিদর্শক আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ ৫ আ’সামিকে কারাগার থেকে আ’দালতে নিয়ে আসা হয়।

পিপি জানান, রায়হান হ’ত্যা মা’মলায় হেফাজতে মৃ’ত্যু নিবারণ আইন তৎসহ ৩০২ দ’ণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা ও ২০১ ধারায় অ’ভিযোগ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আ’সামিপক্ষ শুধুমাত্র হেফাজতে মৃ’ত্যু নিবারণ আইনে মা’মলা’টি চালাতে চান। এজন্য অ’ভিযোগ গঠনের বি’রুদ্ধে তারা হাই’কোর্টে গেছেন। তবে হাইকোর্টের কোন নির্দেশনা না থাকায় আ’দালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানিয়েছেন, রায়হান হ’ত্যা মা’মলায় ৬৯ জন ব্যক্তিকে সাক্ষী করা হয়েছে। আম’রা যথাসময়ে সব সাক্ষীকে আ’দালতে হাজির করবো।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আবদুর রহিমের আ’দালতে ৬ জনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে রায়হান হ’ত্যা মা’মলার বিচার শুরু হয়।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহম’দকে বন্দরবাজার পু’লিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নি’র্যা’তন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মা’রা যান। পরদিন তার স্ত্রী’ তাহমিনা আক্তার তান্নি কোতোয়ালি থা’নায় হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন।

মা’মলা’টির প্রথমে ত’দন্ত করে পু’লিশ। পরে ওই বছরের ১৩ অক্টোবর মা’মলা’টি স্থা’নান্তর করা হয় পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। গত বছরের ৫ মে মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দাখিল করেন।

যে ছয়জনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগপত্র দেওয়া হয় তাদের পাঁচজনই পু’লিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পু’লিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

অ’ভিযু’ক্ত অ’পরজন কথিত সাংবকাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান, যার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বি’রুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অ’ভিযোগ রয়েছে।

এই ছয়জনের বি’রুদ্ধেই অ’ভিযোগ গঠন করেন আ’দালত। অ’ভিযু’ক্ত পাঁচ পু’লিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন। তিনি বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অ’তিরিক্ত মুখ্য মহানগর আ’দালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হ’ত্যা মা’মলার অ’ভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

এদিকে, পু’লিশ হেফাজতে রায়হানের মৃ’ত্যুর ঘটনায় ময়নাত’দন্ত রিপোর্টে তার শরীরে ১১১টি আ’ঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

রায়হান হ’ত্যাকা’ন্ড নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখেই পালিয়ে যান এসআই আকবর। পরে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজে’লার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: