সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

চেয়ারম্যান পদে মা-ছেলের লড়াই

নাটোরের গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউপিতে চেয়ারমান পদপ্রার্থী হয়েছেন মা ও ছে’লে। দুজনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন অফিস। এরপর থেকে মা-ছে’লে দুজনেই নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেছেন। এই ইউপিতে আরও দুই প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজেদা বেগম ও তার ছে’লে হাবিবুর রহমান মন্ডল চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান বিশ্বা’স। আওয়ামী লীগের এই চার প্রার্থীর বাড়ি একই গ্রামে।

দলীয় সূত্র বলছে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে ল’ড়ছেন হাজেদা বেগম। ৯০ দশক থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ল’ড়াই করেছেন হাজেদা বেগমের স্বামী প্রয়াত আহাদ আলী মন্ডল হাদা। প্রত্যেক বারই তিনি পরাজিত হয়েছেন।

২০১৬ সালের নির্বাচনে হাজেদা বেগমের বড় ছে’লে মন্ডল মেহেদি হাসান দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এর কিছু দিন পরেই সড়ক দুর্ঘ’টনায় তিনি মা’রা যান। এই নির্বাচনে হাজেদা বেগম বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও ছোট ছে’লে হাবিবুর রহমান মন্ডল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজেদা বেগম বলেন, তার স্বামী ভোটে বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও বিএনপির প্রার্থীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ভোটে নির্বাচিত হয়েও জীবদ্দশায় স্বামীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়নি।

একই ঘটনা ঘটেছে বড় ছে’লে প্রয়াত মন্ডল মেহেদি হাসানের ক্ষেত্রেও। স্বামী সন্তান হা’রানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। জনগণ তার পক্ষেই রায় দেবেন।

ধারাবারিষা ইউনিয়নের ভোটাররা জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার সবার আছে। তবে একই পরিবারে মা-ছে’লেসহ একই গ্রামের আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী নির্বাচন করছেন। এটি দুঃখজনক। দলের ভেতর থেকে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোটার-সম’র্থকরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন।

অ’পর চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান মন্ডল জানান, পিতা আহাদ আলী ও বড় ভাই মেহেদি হাসান জীবদ্দশায় চেয়ারম্যান হতে পারেননি। মূলত সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজে’লা নির্বাচন কর্মক’র্তা ফেরদৌস আলম জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিকভাবে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। গুরুদাসপুরের ছয় ইউপিতে ২০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: