cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ আর দোর্দণ্ড প্রতাপে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বাংলাদেশের এই বিজয়ে সহযোগিতা করেছিল প্রতিবেশী ভারত।
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে তাদেরও অনেক সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু, তাই বলে এটিকে শুধু ভারতীয়দের লড়াই বা একমাত্র তাদের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এমনটা বলার উপায় নেই।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নেতারা যেন সেটি প্রতিষ্ঠা করতেই উঠেপড়ে লেগেছেন। এ তালিকায় সবশেষ যোগ হলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) নয়া দিল্লির ঐতিহাসিক ইন্ডিয়া গেটে একাত্তর সালের যুদ্ধ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেছেন, আমি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিকের সাহসিকতা, বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সামনে মাথানত করি; যাদের কারণে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারত জয়লাভ করেছিল। এই দেশ সেই সাহসীদের আত্মত্যাগের জন্য সদা ঋণী থাকবে।
এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা ভারতীয় সৈন্যদের পাশাপাশি মুক্তিবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এছাড়া, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘ভারতের অবদান’-এর কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছে এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি।
এসময় পাকিস্তানকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করে ভারতীয় নেতা বলেন, পাকিস্তান ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে চায়। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছিল এবং এখন আমরা সন্ত্রাসবাদকে শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে কাজ করছি।
উপস্থিত জনতার সামনে রাখা ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, মাঝে মধ্যে ভাবি, আমাদের বাঙালি ভাই-বোনদের কী দোষ ছিল? নিজেদের অধিকার চাওয়া? শিল্প, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষা করতে চাওয়া? রাজনীতি ও সরকারে যথাযথ প্রতিনিধিত্বের জন্য কথা বলা?
তিনি বলেন, আমাদের বাঙালি ভাই-বোনদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার কোনো না কোনোভাবে সারা মানবজাতির জন্য হুমকি ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের রাজধর্ম, রাষ্ট্রধর্ম ও সামরিক ধর্মই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছিল।
তার মতে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ভারতের নৈতিকতা, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও ন্যায়বিচারের একটি ‘আদর্শ উদাহরণ’। রাজনাথ বলেন, যুদ্ধে অন্য দেশকে হারানোর পর আমাদের মতো একটি দেশ তার ওপর আধিপত্য খাটায়নি, বরং তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে, ইতিহাসে এমনটি খুব কমই দেখা যায়।
ইন্ডিয়া গেটে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্ব’ অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে রোববার মুক্তিযুদ্ধের বীরদের স্মরণে ‘ওয়াল অব ফেম’ উদ্বোধন করেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। একাত্তরের যুদ্ধে ব্যবহৃত নানা অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হচ্ছে সেখানে। সূত্র: জাগো নিউজ