cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
খোলা আকাশের নিচে বসে ম’রিয়ম খাতুন চুলায় যখন রান্না করেন, ঠিক তখন পেছনে বসে খাবারের জন্য অ’পেক্ষা করেন বৃদ্ধ স্বামী ময়ছের প্রামাণিক (৮৫) ও মানসিক ভা’রসাম্য হা’রানো ছে’লে হাফেজ আবদুর রহমান।
প্রতিদিন সকালে এই বৃদ্ধ দম্পতি বের হন ভিক্ষা করতে, ফেরেন বিকালে। আর ঠিক তখনই চুলা জ্বালিয়ে করেন রান্না। কেউ ভিক্ষা দেন আবার কেউবা দূর ছাই করে তাড়িয়ে দেন এই বৃদ্ধ দম্পতিকে। রাতের বেলায় ছে’লেকে সঙ্গে নিয়ে জরাজীর্ণ টিনের ছাপরা ঘরে রাতযাপন- এভাবেই কে’টে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
এদিকে আবদুর রহমান হাফেজ হওয়ার পর ম’সজিদে ই’মামতি করতেন। ই’মামতি করে সংসারে কিছুটা সচ্ছলতা ফেরালেও বিধিবাম, হটাৎ করেই মানসিক ভা’রসাম্য হারিয়ে ফেলেন আবদুর রহমান। হাফেজ ছে’লেকে এখন ঘর ব’ন্দি রেখে ভিক্ষা করতে বের হন বৃদ্ধ মা-বাবা!
বৃষ্টি এলে শোবার একমাত্র টিনের ছাপরা ঘর দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পড়ে। রাত জেগে থাকতে হয় পাবনার চাটমোহর উপজে’লার ছাইকোলা ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের এই বৃদ্ধ দম্পতি ও তাদের মানসিক ভা’রসাম্যহীন ছে’লেকে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভিক্ষা করে পাওয়া চালে ভাত রান্না করেছেন। খোলা আকাশের নিচে বসে শাক ভাজি করছেন ম’রিয়ম খাতুন। পেছনে বসে ক্ষুধার জ্বালায় কাতর ময়ছের প্রামাণিক ও তাদের মেজ ছে’লে হাফেজ আবদুর রহমান অ’পেক্ষা করছেন খাবারের জন্য। কখন হবে রান্না আর কখনই বা খাবেন খাবার? বার বার খেতে চাইছেন কিন্তু রান্না শেষ হয়নি তখনো। কখনো শাক ভাজি আবার কখনো বা পান্তা ভাত-এমন খাবারই নিত্যদিনের সঙ্গী তাদের।
বৃদ্ধ এই দম্পতির তিন ছে’লে ও দুই মে’য়ে। মে’য়েদের বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। দুই ছে’লে পৃথক থাকেন। তাদের সাংসারিক অবস্থাও শোচনীয়! নিজেদের তিন কাঠা জায়গার ওপর ভাঙ্গাচো’রা টিনের ছাপরা ঘরে হাফেজ ছে’লেকে বসবাস করেন তারা।
অনেক ক’ষ্টে মেজ ছে’লে আবদুর রহমানকে ছাইকোলা দারসুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজ বানিয়েছিলেন। হাফেজ হওয়ার পর তিনি (আবদুর রহমান) ম’সজিদের ই’মামতি করতেন। করেছিলেন বিয়েও। কিন্তু মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ছেড়ে চলে গেছেন স্ত্রী’। ধারদেনা করে পাবনা মানসিক হাসপাতা’লে পর পর দুই বার আবদুর রহমানের চিকিৎসা করালেও সুস্থ হননি তিনি। এলাকার লোকজনকে মা’রপিট করাসহ নানা অ’ভিযোগ শুনতে শুনতে ক্লান্ত বাবা-মা।
এদিকে প্রতি তিন মাস পর বৃদ্ধ ময়ছের প্রামাণিক বয়স্ক ভাতার দেড় হাজার টাকা পেলেও তা দিয়ে চলে না সংসার। ধ’র্মীয় দৃষ্টিতে ভিক্ষা করা মহাপাপ জেনেও অনেকটা বাধ্য হয়ে রোজ সকালে ভিক্ষা করতে বের হন এই বৃদ্ধ দম্পতি। বয়সের ভা’রে ভিক্ষা করতে ক’ষ্ট হলেও কোনো উপায় নেই তাদের কাছে!
আর রাত বিরাতে ঝড়-বৃষ্টি যেন তাদের কাছে অ’ভিশাপ হয়ে আছড়ে পড়ে। টিনের ফুটো দিয়ে পড়ে পানি। রাত জেগে বসে থাকতে হয় তাদের। অভাবের কারণে মানসিক ভা’রসাম্য হা’রানো ছে’লে হাফেজ আবদুর রহমানের চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি ঘরের আবদার জানিয়ে বেশ কয়েকবার গেছেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু আশ্বা’স ছাড়া কিছুই মেলেনি! এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
কা’ন্না জ’ড়িত কণ্ঠে ম’রিয়ম খাতুন এই প্রতিবেদককে বলেন, অভাবের কারণে অন্য দুই ছে’লেকে পড়াশোনা শেখাতে পারিনি। মেজ ছে’লে আল্লাহর পথে চলুক এই ভেবে অনেক ক’ষ্টে হাফেজ বানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ইচ্ছাও পূরণ হলো না! আমাদের বয়স হয়েছে, কী’ভাবে চলবো? হাঁটতে পারি না। খুব ক’ষ্ট হয়। মানুষ ভিক্ষা দিলে তবেই চুলা জ্বলে। কী’ভাবে যে পাগল ছে’লেকে নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে একসঙ্গে থাকি সেটা না দেখলে কেউ বুঝবে না! ছে’লের চিকিৎসা এবং একটি ঘরের জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কা’মনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাইকোলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। তাদের ক’ষ্টের সীমা নেই। ছে’লেটার জন্য সবচেয়ে বেশি খা’রাপ লাগে। কারণ কিছুদিন আগেও সে ম’সজিদে ই’মামতি করতো। কিন্তু মানসিক ভা’রসাম্য হারিয়ে এখন তাকে ঘরব’ন্দি থাকতে হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।