সর্বশেষ আপডেট : ১৪ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

‘আমাদের দোষ একটাই, আমরা মুসলমান’

আসামে দরং জে’লার প্রত্যন্ত ধলপুর গ্রামটার ছবি প্রথম দেখেছিলাম সাত আট দিন আগে গণমাধ্যম আর সোশাল মিডিয়ায় এই গ্রামের যুবক মইনুল হকের ওপরে বর্বরতার ছবি আর তার মৃ’ত্যুর সেই ম’র্মা’ন্তিক ভিডিওটাও দেখেছিলাম তখনই।

এই গ্রামেই আসাম সরকার দফায় দফায় উচ্ছেদ অ’ভিযান চালিয়েছে গত কয়েকমাসে।

প্রথম’দিকে বলা হচ্ছিল একটি প্রাচীন শি’বমন্দিরকে অনেক বড় আকারে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মন্দির সংলগ্ন জমি থেকে উচ্ছেদ অ’ভিযান চালানো হচ্ছে। এধরনেরই একটি উচ্ছেদ অ’ভিযানের সময়ে ২৩শে সেপ্টেম্বর আশ্রয়চ্যুতদের বি’ক্ষোভে পু’লিশ গু’লি চালায়।

স্থানীয় সাংবাদিকরা পু’লিশের গু’লিতে অন্তত দুজনের মৃ’ত্যু ও আরও বেশ কয়েকজনের আ’হত হওয়ার খবর জানান।

পরে জানা যায়, সেখানে আসাম সরকার একটি কৃষি খামা’র গড়ে তোলার জন্য তাদের ভাষায়, জমি দখলমুক্ত করতে তারা অ’ভিযান চালিয়েছে। উচ্ছেদের ফলে ভিটে মাটি হারিয়েছেন স্থানীয় বহু বাসিন্দা।

সেখানে মানুষ কী’ভাবে দিন কা’টাচ্ছেন তা দেখতে দিন কয়েক আগে নৌকায় চেপে দু দুটো ছোট খাল পেরিয়ে হাজির হয়েছিলাম ধলপুরে। প্রথমেই চোখে পড়ল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তিনকোণা ঢেউ টিনের সারি। কাছে এগিয়ে যেতেই বুঝলাম যে এগুলো আসলে কোনও বাড়ির টিনের ছাদ ছিল।

যখন উচ্ছেদ অ’ভিযান চলেছে এই গ্রামগুলোতে, যখন ভাঙা পড়েছে বসতবাড়ি, এই ঢেউ টিনের ছাদগুলোকেই মানুষ সরিয়ে নিয়ে এসেছেন। তার তলাতেই কোনমতে মা’থা গুঁজে থাকা। কয়েকটা থালা বাসন, একপাশে জড়ো করে রাখা কয়েকটা বালতি, বিছানা-তোষক।

টিনের চালগুলোর বাইরে পড়ে আছে ভাঙা, পো’ড়া আলমা’রি, টিনের ট্রাঙ্ক।

ধলপুরের মানুষের সংসার বলতে আপাতত এইটুকুই। সব কিছুই রাখা রয়েছে ভেজা মাটিতে। আগের রাতে মুষলধারে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে।

“কাল রাতে খুব ভয় লাগছিল। খুব ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল টিনের চালটা বোধহয় উড়েই যাবে। বাইরেও বেরনোর উপায় নেই। জলের মধ্যেই বাবা মা বোনেদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম সারারাত,” আমাকে বলছিলেন জ্যোৎস্না বানু।

ক্লাস নাইনে পড়েন জ্যোৎস্না।জ্যোৎস্নারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছে, তার আশপাশে আরও অনেকগুলো টিনের চালের আস্তানা। একটার ভেতরে দেখলাম খাট পেতে মশারি টাঙিয়ে এক সদ্যজাত শি’শুকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

চারিদিকে উচ্ছেদেরধ্বং,সলীলা
তাদের ওই টিনের চালের নিচে জ্যোৎস্নার মা আনোয়ারা বেগম একটা অ্যালমুনিয়ামের কানা উঁচু থালা থেকে কয়েক মুঠো ভাত চারটে থালায় বেড়ে দিচ্ছিলেন।

“দ্যাখেন, এই কয় মুঠ ভাত। শুধুই শুকনা ভাত। লবণ, ত্যাল কিসুই নাই। সরকার তো খ্যাদায় দিল, কিন্তু কোনও সাহাইয্য আর করল না,” বললেন তিনি।

ওনাকে আর বললাম না যে খাল পেরনোর সময়ে দেখেছি বেশ কয়েক বস্তা চাল আলু, লবণের প্যাকেট এসব আসছে তাদের গ্রামে।

কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ পাঠাচ্ছে। গ্রামে একটা মেডিক্যাল বসেছে। কয়েকজন তরুণ ডাক্তার নারী-পুরুষ-শি’শুদের কিছু ওষুধ দিচ্ছিলেন।

যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই শুধু ভাঙা টিন, আলমা’রি, বাক্স আর বাঁশ পড়ে আছে। যেন একটাধ্বং,সস্তূপ। এর মধ্যেই আবার অনেকে গর্ত করে বাঁশ পুঁতছেন, টিনের চালা বানাচ্ছেন।

তার পাশেই একটা বড় সড় জটলা। নানা বয়সের পুরুষ মানুষদের ভিড়।

একজনকে কাছে পেয়ে জানতে চেয়েছিলাম, কী’ এমন হয়েছিল যে পু’লিশ একেবারে গু’লি চালিয়ে দুজনকে মে’রে দিল?

তার কথায়, “প্রথম দুদিন তো কোনও সমস্যা হয়নি। সরকার বলেছিল আমাদের থাকার জায়গা দেবে, আম’রা নিজেরাই সরে এসেছিলাম। সেদিন একটা ধর্নায় বসেছিলাম আম’রা। বাইরের কেউ ছিল না কিন্তু। সেখানে ছিলেন জে’লার এস পি সাহেবও।

“শান্তি মতই আলোচনা হল। তিনি বললেন তোম’রা ঘরে চলে যাও। কজনকে আমা’র কাছে পাঠিয়ে দিও, আমি কথা বলে নেব। সেই মতো সবাই চলেও গিয়েছিলাম। হঠাৎই পূব দিক থেকে গু’লির আওয়াজ পাই। সেই দিকে যেয়ে দেখি এক গর্ভবতী মহিলার হাতে গু’লি লেগেছে। সেই শুরু,” বললেন ধলপুরের ওই বাসিন্দা।

মন্দিরের জমি দখল নিয়ে বিতর্ক
শুধু যে গু’লি চলার দিন সকালে আলোচনা হয়েছিল সরকার আর গ্রামবাসীদের মধ্যে, তা নয়।

বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনা হচ্ছিল এই উচ্ছেদ আর তার পরের পুনর্বাসন নিয়ে। সরকারের দাবি এই জমি তাদের। গ্রামবাসীরা দখলকারী। তাই তাদের সরে যেতে হবে।

“কেন এটা সরকারি জমি হবে? আমাদের পূর্বপুরুষরা উচিত দাম দিয়ে এই জমি কিনেছিল। সেই দলিলও আমাদের কাছে আছে,” বলছিলেন আজিরুন্নেসা নামের এক নারী।

তাকে বলেছিলাম, “সরকার যে বলছে এক প্রাচীন শি’বমন্দিরের জমিও আপনারা দখল করে রেখেছিলেন?”

মিজ আজিরুন্নেসা জবাব দিলেন, “ওই শি’বমন্দির থেকে আমাদের গ্রাম পাঁচ কী’ ছয় কিলোমিটার দূরে। আম’রা ওদিকে যাইও না। আর যদি মন্দিরের জমি খালি করতে হতো, তাহলে আমাদের ঘর ভাঙল কেন সরকার?”

গ্রামে ঘুরে এও জানতে পারলাম যে ওই মন্দিরের জমি দখল নিয়ে যে বিতর্ক ছিল, তা মিটে গেছে অন্তত চার মাস আগে।

মন্দিরটির জমি যে ১০-১২টি পরিবার বেআইনিভাবে দখল করেছিল, তারা সরে গেছে মন্দির এলাকার বাইরে আর এখন মন্দিরের জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে, জানালেন গ্রামবাসীরা।

বোঝাই গেল যে মন্দিরের জমি বেআইনি দখলমুক্ত করার সঙ্গে ধলপুরের উচ্ছেদের কোনও স’ম্পর্কই নেই।

গ্রামের মানুষ আরও বললেন, শুধু যে জমির মালিকানার দলিল তাদের কাছে আছে, তাই নয়। তারা নিয়মিত খাজনাও দিয়ে এসেছেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। তারপরেই এটা সরকারি জমি না ব্যক্তিগত, তা নিয়ে বিতর্ক বাঁ’ধায় আর খাজনা দেন না তারা।

তবুও গ্রামবাসীরা সরে যেতে রাজি ছিলেন পুনর্বাসন পেলে।

‘উচ্ছেদ শুধু মু’সলামান এলাকায়’
গুয়াহাটির কলামিস্ট বৈকুণ্ঠ গোস্বামী বলছিলেন, “ওখানে একটা বড় কৃষি ফার্ম করবে সরকার। ভাল কথা। কিন্তু এতগুলো মানুষকে উচ্ছেদ করছে, এই মানুষগুলো যে কোথায় যাবে, তার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। আর এই বিষয়টাও ভাবার মতো, শুধু কিন্তু মু’সলমান এলাকাগুলোতেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে।”

কিন্তু সেই উচ্ছেদ অ’ভিযানে ঠিক কেন গু’লি চলল, কেন দুজন গ্রামবাসী নি’হত হলেন, তা স্পষ্ট নয়।

সরকার বলছে তারা বিচারবিভাগীয় ত’দন্ত শুরু করেছে।

আবার একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল এটাও বলছে: “হাজার দশেক লোক জড়ো করে দা সহ দেশীয় অ’স্ত্র নিয়ে পু’লিশকে আক্রমণ করলে কি তারা চুপ করে থাকবে?”

ধলপুর থেকে ফিরে এসে গুয়াহাটিতে যখন দেখা করলাম বিজেপির সিনিয়র নেতা প্রমোদ স্বামীর সঙ্গে, তিনি বললেন ওই কথাগুলো।

জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে, “দশ হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার, অ’স্ত্র নিয়ে পু’লিশের ওপর হা’মলা করার কোনও প্রমাণ কি আছে?”

“সরকারের কাছে নিশ্চয়ই প্রমাণ আছে। ত’দন্ত হলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে,” বললেন তিনি।

তাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম, “কিন্তু সেদিন শুধুমাত্র লা’ঠি হাতে পু’লিশের দিকে ধেয়ে আসা এক ব্যক্তিকে গু’লি করে মা’রা হচ্ছে, তার বুকে গু’লির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে, সেই ভিডিও তো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্তত ২৫ জন পু’লিশ ছিলেন সেখানে। ওই ব্যক্তিকে গু’লি করতে হল কেন? আ’ট’ক করা যেত না? আবার সরাসরি বুকে গু’লি? এটার কী’ যু’ক্তি দেবেন?”

মি. স্বামী বারে বারে ফিরে যাচ্ছিলেন সেই ”দশ হাজার মানুষের অ’স্ত্র নিয়ে পু’লিশের ওপর হা’মলা”র তত্ত্বে।

যে ভিডিওটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, সেই ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখেছেন ধলপুরের বাসিন্দা সামাদ আলি।

“ওই যে মা’রা গেছে, মইনুল। ওর হাতে একটা লা’ঠি ছিল। পু’লিশ ওর সামনেই ওর এক ভাতিজাকে মা’রছিল। যে কোন মানুষেরই মা’থা গরম হবে এতে। সে ওই কজন পু’লিশকে ধাওয়া করেছিল লা’ঠি নিয়ে। আম’রা চেষ্টা করেছিলাম ওকে আ’ট’কাতে। কিন্তু পু’লিশ যদি গু’লি করে দেয়,সেই ভয়ে আর এগোইনি। তারপরেই তো পু’লিশ ওকে ঘিরে নিল। । আর চুল দাড়িওয়ালা একজন মানুষ ওর ওপরে ঝাঁপিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল, লাথি মা’রছিল। শেষে তো ওকে বুকে গু’লি করল,” বলছিলেন সামাদ আলি।

স্বামীর বুকে আর পায়ে সেই গু’লির চিহ্ন সেদিন রাতে দেখতে পেয়েছিলেন মইনুল হকের স্ত্রী’ মমতাজ বেগম।

ধলপুরের উচ্ছেদ হওয়া মানুষরা সুতা নদীর অন্যপাড়ে যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে তাদের ভিটে বাড়ির টিনের চালের নিচে, তারই একেবারে শেষ প্রান্তে গিয়েছিলাম মইনুল হকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।

ভেতর থেকে একটানা বিলাপ করে কা’ন্নার শব্দ আসছিল। ছে’লে হা’রানো মা আর স্বামী-হারা মমতাজ বেগমকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশীরা।

মইনুলের মা বিশেষ কথাই বলতে পারলেন না।

একটু ধাতস্থ হয়ে মমতাজ বেগম বললেন, “সেদিন বেলা এগারোটার দিকে শেষবার দেখেছিলাম স্বামীকে। তারপর তো রাতে আবার দেখলাম।”

এইটুকু বলেই আবার ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন তিনি।

কিছুক্ষণ পর বললেন, “ওর বুকে গু’লি লেগেছিল, আর পায়ে। ওর ওপরে যেভাবে একটা লোক ঝাঁপিয়েছে, লাথি মে’রেছে, ওর শরীরটা নীল হয়ে গিয়েছিল।”

আবারও কেঁদে ফেললেন তিনি।

বিশালাকার কৃষি খামা’র প্রকল্প
বেলা গড়িয়ে আসছিল, এবার আমা’র ফেরার পালা।

সুতা নদীর ধার দিয়ে যখন ফিরছি, তখন প্রায় বেলা চারটে।

তখন সবে খোলা আকাশের নিচে গর্ত খুঁড়ে বানানো উনুনে হাঁড়ি চড়ছে। ভাত ফুটতে শুরু করেছে। তবে রোশনারা খাতুনের চাল শেষ। ভাত রাঁধার উপায় নেই।

ধ’রা গলায় বলছিলেন, “দিন হাজিরা করে খাই। চাল নেই ঘরে। বাচ্চাগুলো না খেয়ে থাকছে। আবার তো শুনছি এখান থেকেও নাকি উচ্ছেদ করবে।”

খেয়াঘাটের দিকে আরও কিছুটা চলে আসার পরে নদীর অন্য পাড়ে, যেখানে এই মানুষদের বাস ছিল, সেখান থেকে ট্রাক্টরের আওয়াজ পেলাম।

নদীর তীরে শরৎকালের পরিচিত চিহ্ন কাশফুল ফুটে আছে অগুনতি।

এক নারী তাকিয়ে ছিলেন যেদিক থেকে ট্রাক্টরের আওয়াজ আসছে, সেইদিকে।

তাদের ফেলে আসা ভিটে মাটি এখন ট্র্যাক্টর দিয়ে চষে ফেলা হচ্ছে – সেখানে গড়ে উঠবে গরুখুঁটি প্রকল্প।

এক বিশালাকার কৃষি খামা’র হবে এই গরুখুঁটিতে।

কৃষি কাজ শেখার জন্য স্থানীয় ভূমিপুত্রদের নিয়োগও করা হয়েছে।

“ওখানে থাকত মু’সলমানরা। তাদের উচ্ছেদ করে দিল। সেখানে যদি কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিত, আ’পত্তি ছিল না। কিন্তু মু’সলমানদের উচ্ছেদ করে যদি ভূমিপুত্রদের সেখানে বসাও, তাহলেই বুঝতে হবে তোমা’র উদ্দেশ্যটা ভাল না,”আসাম সরকারের উদ্দেশ্যে বলছিলেন গুয়াহাটির প্রবীণ আইনজীবী ও আসাম সিভিল সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি হাফিজ রশিদ চৌধুরি।

গরুখুঁটি প্রকল্পটিকে বলা হচ্ছে পাইলট প্রজেক্ট।

“এই প্রকল্প যদি সফল হয়, তাহলে আরও নানা জায়গায় এধরনের কৃষি খামা’র গড়ার পরিকল্পনা নিশ্চয়ই করবে সরকার,” বলছিলেন বিজেপি নেতা প্রমোদ স্বামী।

প্রথম যে ছা’ত্রীটির সঙ্গে কথা হয়েছিল, ফেরার সময় দেখা হল তার বাবা মজিদ আলির সঙ্গে।

আমাকে দেখানোর জন্য তিনি নিয়ে এসেছিলেন এনআরসিতে যে তার নাম আছে, সেই কম্পিউটার প্রিন্ট আউট।

“দেখু’ন তালিকায় প্রথম নামটাই আমা’র। আমি বা আম’রা গ্রামের কেউ তো এখানকার বাসিন্দা। কেউ বাংলাদেশি নই, কেউই বহিরাগত নই। তবুও সেসবই বলা হচ্ছে আমাদের নামে। আসলে আমাদের দোষ একটাই, এটা আম’রা খুব ভাল করে বুঝে গেছি। আম’রা মু’সলমান। আমাদের দোষ এটাই।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: