cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেশের মধ্যে সিলেট অঞ্চল বজ্রপাতের জন্য ঝুঁ’কিপূর্ণ। মা’র্চ থেকে মে মাস অবধি এ অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি হয়। এতে প্রতি বছর মা’রা যান বেশকিছু মানুষ। এদিক বিবেচনায় বজ্রপাতে প্রা’ণহানি কমাতে তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিলেট বিভাগের চারটি জে’লাসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩টি জে’লায় এসব ছাউনি নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে (পাইলট প্রকল্প) ২৩টি জে’লার হাওরাঞ্চলে ১ কিলোমিটার পরপর ১ হাজার বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ছাউনির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধ’রা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যু’ক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরলে তার কাছে এ প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “দেশে প্রতি বছর গড়ে দুই শর বেশি মানুষ বজ্রপাতে মা’রা যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নিতে একাধিক কর্মশালা করা হয়েছে। ওই সব কর্মশালার অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। যু’ক্তরাষ্ট্র সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।”
তিনি বলেন, ‘পাইলট প্রকল্প হিসেবে হাওর এলাকায় এক হাজার শেল্টার নির্মাণ করা হবে। ১ কিলোমিটার অন্তর অন্তর নির্মাণ করা হবে একেকটি শেল্টার, যাতে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ পেলেই মাঠের কৃষকসহ মানুষজন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারেন। প্রতিটি শেল্টারে লাইটার অ্যারেস্টার বসানো হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বজ্রপাতে প্রা’ণহানির সংখ্যা কমে আসবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বজ্রপাত ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এতে মৃ’ত্যুর হার কমিয়ে আনতে আম’রা তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এর একটি হলো আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম। অর্থাৎ বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে সেই যন্ত্র। দ্বিতীয়ত হলো, বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ এবং তৃতীয়ত, জনসচেতনতা বাড়ানো।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, বজ্রপাত কিংবা বজ্রঝড়ের স্থায়িত্ব সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। তাই ছাউনি নির্মাণ করে মানুষের প্রা’ণহানি কমানো সম্ভব। অর্থাৎ কংক্রিটের ছাউনি তৈরি করা হবে। ঝড় শুরু হলে পশু নিয়ে কৃষকেরা সে ছাউনিতে আশ্রয় নেবেন। ঝড় থেমে গেলে মাঠে ফিরে যাবেন। এমন পরিকল্পনা থাকছে প্রকল্পে। ছাউনি নির্মাণের পাশাপাশি বজ্রপাতে প্রা’ণহানি ঠেকাতে আধুনিক প্রযু’ক্তি ব্যবহার করারও চিন্তা করা হচ্ছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় অ্যারেস্টার বসানো হবে। এ যন্ত্র বজ্রপাত শোষণ করে নেবে। স্পেনের এ প্রযু’ক্তি বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই পূর্বাভাসও দিতে পারে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রা’ণহানি কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ১০ বছরে বজ্রপাতে দেশে কমবেশি আড়াই হাজার মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে ২০১১ সালে মা’রা গেছেন ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ১৬০ জন, ২০১৬ সালে ২০৫ জন, ২০১৭ সালে ৩০১ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৯৮ জন, ২০২০ সালে ২১১ জন এবং ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত মা’রা গেছেন ১০৯ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে চলতি বছরের সাড়ে আট মাসে মা’রা গেছেন দুই শর বেশি মানুষ।
গবেষকদের মতে, নাসার তথ্য অনুযায়ী বজ্রপাতের অন্যতম হটস্পট বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট কর্মক’র্তারা জানান, হাওরাঞ্চলের পাশাপাশি যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বজ্রপাতে মা’রা গেছেন, সেসব এলাকায় ছাউনি নির্মাণে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাওরাঞ্চল নেত্রকোনা, কি’শোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটে মা’র্চ-এপ্রিল-মে মাসে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয়। মৌসুমে বজ্রপাত বেশি হয় সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, বরিশাল এবং উত্তরবঙ্গের রংপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কক্সবাজারে বজ্রপাত বেশি হয়। সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী এসব অঞ্চলে শীতকালে হয় বজ্রপাত।