cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
৬০ বছর বয়সী রফিক মিয়া গত ২০ জুন করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতা’লের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিন দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা উন্নতি হলে বাড়ি ফেরেন তিনি।
কিন্তু, কয়েকদিনের মা’থায় আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে আসা হয় সিলেটে। কিন্তু, এবার কোনো বেসরকারি হাসপাতা’লে আইসিইউ শয্যা না পেয়ে তাকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে। কিন্তু, সেখানেও আইসিইউতে কোনো শয্যা ফাঁকা না থাকায় সাধারণ একটি শয্যাতেই চলছে তার চিকিৎসা।
রফিক মিয়ার অবস্থায় সিলেট বিভাগের করো’নাভাই’রাসের বর্তমান পরিস্থিতির একটি প্রতিচ্ছবি। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটে করো’নাভাই’রাস পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।
সিলেটের দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা, সংক্রমণের উচ্চহার, হাসপাতা’লে উপচে পড়া ভিড় ও শয্যা সংকট বিবেচনায় চিকিৎসকরা বলছেন, দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জে’লার পর সিলেট করোনাভাই’রাসের পরবর্তী হটস্পট হতে যাচ্ছে।
আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্তের হার ৫৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সিলেট জে’লাতেই ৬০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগে বিগত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে কোভিড-১৯ আ’ক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৯৪ জন।
এ ছাড়া, গতকাল বিভাগে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডও হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগে ৪৩ দশমিক ১২ শতাংশ হারে মোট ৪৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন। যা করো’নাভাই’রাস মহামা’রির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।
সিলেট বিভাগের হাসপাতালগুলোর মধ্যে সিলেট মহানগর এলাকায় করো’নাভাই’রাস চিকিৎসায় সবচেয়ে আধুনিক ও সর্বোচ্চ স্থান থাকায় বিভাগের অন্যান্য জে’লা ও জে’লার অন্যান্য উপজে’লা থেকে প্রায় সব রোগীই এখানে আসছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ সিলেট বিভাগের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৩৩।
ভর্তি রোগীর মধ্যে কেবলমাত্র সিলেটেই ভর্তি রয়েছেন ৪৬৩ জন। এ সংখ্যা বিগত কয়েকদিনে ছিল যথাক্রমে ৪৮৬, ৪৫০, ৪৪৪ ও ৪২৬। গত ৫ জুলাই এর আগের চার সপ্তাহে সিলেট জে’লায় ভর্তি রোগীর সংখ্যার গড় ছিল যথাক্রমে ৩৪৪, ২৮০, ২১৬ ও ২১২।
সিলেট বিভাগে করো’নাভাই’রাসে মৃ’ত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনসহ গত ১০ দিনে ৩৮ জন রোগীর মৃ’ত্যু হয়েছে।
করো’নাভাই’রাস চিকিৎসায় বিশেষায়িত সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লের আবাসিক চিকিৎসা কর্মক’র্তা (আরএমও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে আমাদের এখানে সাধারণ বা আইসিইউ শয্যা ফাঁকা থাকছে না। প্রতিদিনই রোগীদের চাপ বাড়ছে আর কোভিড-১৯ আ’ক্রান্ত রোগীদের অর্ধেকই সিলেট শহরের বাইরের বিভিন্ন উপজে’লা কিংবা বিভাগের অন্যান্য জে’লা থেকে আসছেন। শয্যা ফাঁকা না থাকায় প্রতিদিন অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’
সিলেটের সরকারি হাসপাতা’লে করো’নাভাই’রাস রোগীদের চিকিৎসার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে মোট ৩২৪টি সাধারণ শয্যা। কিন্তু, আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৪টি।
সাধারণ শয্যার মধ্যে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে ৮০টি, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ১৮২টি এবং খাদিমপাড়া হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরম হাসপাতা’লে ৩১টি করে।
২৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতা’লে ১৬টি ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে আটটি। এই মুহূর্তে দুই হাসপাতা’লের কোনোটিতেই আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শামসুদ্দিন হাসপাতা’লের আরএমও ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ১০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট বর্তমানে সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটিতে চলছে। রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ। তাই আমাদের এখানে এই মুহূর্তে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো সম্ভব না। অক্সিজেন প্ল্যান্টের ওপর অ’তিরিক্ত চাপ পড়লে তা থেকে দুর্ঘ’টনাও ঘটতে পারে।’
তবে, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ৭০টি সাধারণ শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়ে হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘সিলেট বিভাগের সব রোগীদের শেষ ভরসা’স্থল এই হাসপাতাল। কিন্তু, করো’না উপসর্গ নিয়ে আসা ও আ’ক্রান্ত রোগীদের স্থান সংকুলান করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার মতো প্ল্যান্ট থাকলেও এই মুহূর্তে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর জন্যে পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই।’
‘প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে হাসপাতা’লে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়াও, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, বাইপ্যাপ, সিপ্যাপ, ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বরাদ্দ পেলে আইসিইউ ছাড়াও অনেক রোগীকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যাবে’, বলেন তিনি।
বেসরকারি হাসপাতা’লের মধ্যে নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ৪৮টি, মাউন্ট এডোরা হাসপাতা’লে ২৬টি, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ৪৮টি, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ৬৫টি, পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ১৮টি, নুরজাহান হাসপাতা’লে ২৩টি ও ওয়েসিস হাসপাতা’লে ১৩টি সাধারণ শয্যা রয়েছে। এ হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে যথাক্রমে ১৬, নয়, ১০, ১০, চার, ছয় ও একটি।
সিলেট বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি এবং নুরজাহান হাসপাতা’লের চেয়ারম্যান ডা. নাসিম আহম’দ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতা’লের পাশাপাশি আম’রা কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু, রোগীর চাপ প্রতিদিন এত বেশি বাড়ছে যে আম’রা উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় সরকারি চিকিৎসা’সেবাও আরও অনেকটুকু বাড়ানো প্রয়োজন।’ সৌজন্যে: ডেইলি স্টার