cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
পনেরো দিন আগেও ওঠানামা করতো সিলেটের করো’না পরিস্থিতি। একদিন রোগী বাড়লে অন্যদিন কমতো। কিন্তু এখন শুধু বাড়ছেই। এখন পরীক্ষার প্রায় অর্ধেকই হচ্ছেন পজেটিভ শনাক্ত। নমুনা পরীক্ষা বাড়ালেই আঁতকে ওঠার মতো ফলাফল আসে। গতকালও ১০২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ হয়েছেন ৪৪২ জন। হিসেব মতে- শনাক্তের হার ৪৪ শতাংশ। করো’নার এই ঊর্ধ্বগতি সিলেটে কোথায় গিয়ে ঠেকবে এ নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যবিভাগ।
রোগী বাড়লেও চিকিৎসার পরিধি বাড়ানোর প্রস্তুতি এক বছরেও নেয়া সম্ভব হয়নি। এর লাগাম টেনে ধ’রার মতো কৌশলও নেই সিলেটে। লকডাউন মানা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ কমা’র কোনো পথই দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। আগে শহরেই ছিল করো’না সংক্রমণের সীমাবদ্ধতা। এখন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। মৃ’ত্যুর মিছিল চলছে। সরকারি হিসেব মতে- গতকাল সিলেটে ৬ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। কিন্তু করো’না উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। এই হিসেব রাখছে না কেউ। আইসিইউ খালি নেই। ১০ দিন আগে থেকেই এ সংকট। এখন অক্সিজেনই ভরসা। অক্সিজেন দিয়ে ল’ড়াই চলছে করো’নার সঙ্গে। হাসপাতা’লে রোগী বাড়লে অক্সিজেন নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। সরকারি হাসপাতা’লে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে অক্সিজেন সংকটের অ’ভিযোগ করেছেন।
অক্সিজেন সংকটের কারণে তারা আইসিইউতে বেড বাড়াতে পারছেন না। স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে- গতকাল সিলেট বিভাগের ৪ জে’লায় ১০২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৪২ জন করো’না রোগী পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪৪ শতাংশ। নতুন রোগীদের মধ্যে সিলেট জে’লার ২২৭, সুনামগঞ্জের ৫৬, মৌলভীবাজারের ৬৭ ও হবিগঞ্জ জে’লার ৪৬ জন রয়েছেন। এছাড়া ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ৪৬ জন করো’না রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সিলেটে নতুন করে মা’রা গেছেন আরও ৬ জন। এর মধ্যে ৫ জনই সিলেট জে’লার, অ’পরজন মৌলভীবাজারের। সিলেট বিভাগে এ নিয়ে মৃ’ত্যু হয়েছে ৫১১ জনের। বর্তমানে সিলেটজুড়ে ৫৫১ জন করো’না রোগী হাসপাতা’লে ভর্তি আছেন।
স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মক’র্তারা জানিয়েছেন, সিলেটে করো’না মোকাবিলায় পূর্বে থেকে যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল সেই প্রস্তুতি আর কাজে আসছে না। রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে অক্সিজেন সা’পোর্ট পেতে রোগী সংখ্যা বাড়ছেই। ফলে শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে বেড়েছে ক্রিটিক্যাল রোগীর চাপ। এ হাসপাতা’লে প্রতি ঘণ্টায় আইসিইউর জন্য রোগী আসছে। কিন্তু ১৬টি বেডই রোগীতে পূর্ণ। এ কারণে আইসিইউতে জায়গা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, ওয়ার্ডে সুস্থ রোগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তি হতে আসা খুব কম সংখ্যক রোগীকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের আউটডোরে দুইশ’ শয্যার একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করার কথা ছিল। সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকার কারণে সেটিও চালু করা যাচ্ছে না। হাসপাতা’লের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করতে একটি প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সে প্রস্তাবনা পাশ হয়ে এলে কাজ শুরু হবে। এরপর সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হলেই রোগী ভর্তি শুরু হবে। সিলেটের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট খাদিমপাড়া ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। এ দুটি হাসপাতা’লে সিলিন্ডার দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন দেয়া হয়। ফলে খুব আশ’ঙ্কাজনক রোগী না হলে ওই হাসপাতা’লে রাখা হয়। দুটি হাসপাতা’লে প্রায় ৩৫ জনের মতো রোগী ভর্তি রয়েছে। রোগী বাড়ার কারণে সিলেটের উপজে’লাগুলোতেও করো’না চিকিৎসা’সেবা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কারণ, সিলেটের বিভিন্ন উপজে’লায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগী স্থানীয়ভাবে উপজে’লায় চিকিৎসা পেলে দুর্ভোগ কমে আসবে। এ বিষয়টি মা’থায় রেখে দ্রুত উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা’সেবা চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।