cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে প্রায় ৫ বছর আগে একটি ওভা’রব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ব্যস্ততম কোর্টপয়েন্ট এলাকাকে যানমুক্ত ও দুর্ঘ’টনা এড়াতে ওভা’রব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন অনেকেই এই ওভা’রব্রিজ নির্মাণ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় হাসান মা’র্কেট ও মধুবন মা’র্কে’টের ব্যবসায়ীরা আ’পত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। পথচারীরা ব্যবহার করেন না এই ওভা’রব্রিজ। ভুলেও কেউ সেখানে যান না। এ কারণে ওভা’রব্রিজে মা’দকসেবী ও ছিনতাইকারীদের আড্ডা ও আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
এখন এই ব্রিজটি সিটি করপোরেশনের জন্য গলার কাঁ’টা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি অনুধাবন করেই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কোর্ট পয়েন্টের ওভা’রব্রিজটি বিক্রি করে দিতে নিলাম আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই ওভা’রব্রিজটি বিক্রির জন্য দু’দফা নিলামে সর্বোচ্চ দর ওঠে ২২ লাখ টাকা। এ কারণে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে না। আবার ব্রিজটি অন্যত্র স্থা’নান্তরের চিন্তাভাবনা করা হলেও সিটি করপোরেশন সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে।
কোর্ট পয়েন্টের অব্যবহৃত ব্রিজ নিয়ে যখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে তখন সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আরো দুটি ওভা’রব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর টিলাগড়ে এমসি কলেজ এলাকায় নির্মিত ওভা’রব্রিজটির কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ করা হয়েছে। উপশহরের রোজভিউ পয়েন্টে আরেকটি ওভা’রব্রিজের চিন্তাভাবনা থাকলেও সেটি থেকে সরে এসেছে সিটি করপোরেশন। এখন তারা হু’মায়ূন রশীদ চত্বরে আরেকটি ওভা’রব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এ দুটি ওভা’রব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নগরবাসীর মনে। চলছে বিতর্কও। আর এতে বিতর্কিত হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তবে এই ওভা’রব্রিজ নির্মাণের একক দায় নিতে চাচ্ছেন না মেয়র আরিফুল হক। ‘উপর মহলের’ ইশারার কথাও গণমাধ্যমের কাছে ইঙ্গিত করে বলেছেন। সিলেটের কোর্ট পয়েন্টের ওভা’রব্রিজের তিক্ত অ’ভিজ্ঞতায় টিলাগড় ও হু’মায়ূন রশীদ চত্বরের ওভা’রব্রিজ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নগরের সচেতন নাগরকিরা বলছেন, ওভা’রব্রিজের নামে লুটপাটের জন্য এসব অ’প্রয়োজনীয় ও অ’পরিক’ল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো নগরবাসীর কোনো উপকারে আসবে না। সিটি করপোরেশনের কর্মক’র্তারা বলছেন, টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজ খুললে সেতুটির ব্যবহার বাড়বে। শিক্ষার্থীরা সেতু ব্যবহার করে সড়ক পারাপার হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এমসি কলেজের ফট’কে কয়েক মাস আগে দুর্ঘ’টনার সময় শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে ওভা’রব্রিজ নির্মাণের দাবি উঠেছিল। পাশাপাশি শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফট’কে ঘন ঘন দুর্ঘ’টনা এড়াতে ওভা’রব্রিজ নির্মাণেরও দাবি উঠেছে। এ কারণে শাবি ফট’কেও একটি ওভা’রব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান মানবজমিনকে জানিয়েছেন, এমসি কলেজে ওভা’রব্রিজ প্রয়োজনের কারণেই দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও দাবি জানিয়েছিল একটি ওভা’রব্রিজের। তবে, উপশহরের রোজভিউ পয়েন্ট এলাকায় ওভা’রব্রিজ করা হবে না। আপাতত ওই এলাকার একপাশে ওভা’রব্রিজ হবে। প্রয়োজনে অন্য পাশেও করা হবে বলে জানান তিনি। আর কোর্ট পয়েন্টের ওভা’রব্রিজটি এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকবে বলেও প্রধান প্রকৌশলী জানান। সিলেটে চলমান ওভা’রব্রিজের কার্যক্রমকে অ’পরিক’ল্পিত নগর উন্নয়নের প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আ’ন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কী’ম। তিনি জানিয়েছেন, এক ব্রিজের অ’ভিজ্ঞতায় দৃশ্যমান হয়েছে ওভা’রব্রিজ আদতে কোনো কাজে লাগে না। পরিকল্পনা প্রণয়নে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এতে কেবল রাষ্ট্রীয় টাকার অ’পচয় হবে, দু’র্নীতিও হতে পারে। সৌজন্যঃমানবজমিন