cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাগানে ফুলগাছ খাওয়া সেই ছাগল মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাগলটি তার মালিক সাহারা বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছাগলের মালিককে জরিমানা করা দুই হাজার টাকা ইউএনও নিজেই দিয়েছেন।
ইউএনও সীমা শারমিন বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে। জরিমানা টাকা আমি দিয়েছি। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম, শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের টার্গেট অন্য কিছু ছিল না। জাস্ট সংশোধনের জন্য তাকে ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর ছাগল বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন। জরিমানা করার পর ছাগল আমার এখানে নিরাপত্তার জন্যই জিম্মায় রাখা হয়েছিল একজনের কাছে। যাতে ছাগলের কোনো ক্ষতি না হয়। ওই নারী জরিমানার টাকা ফেরত দিতে পারেনি বলে দেননি।’
ফেরত পাওয়া ওই ছাগলের মালিক সাহারা বেগম বলেন, ‘১০ দিন যাবৎ আমার ছাগল তাদের কাছে থাকায় খুব অসুস্থ হয়ে গেছে। এভাবে একটি পশুকে আটকে রাখা ঠিক না।’ ছাগল এর আগে বাগানের ফুল খায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
সাহারা বেগম উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো সংলগ্ন এলকায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম জিল্লুর রহমান। গত ১৭ মে তার ছাগলটি হারিয়ে যায়। অনেক জায়গায় তিনি ছাগলটির সন্ধান করেন। পরে এলাকার লোকজন তাকে জানায়, ছাগলটি ইউএনওর এক নিরাপত্তা কর্মীর নিকট রয়েছে। তিনি ইউএনওর বাসার পাশে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে দেখেন। এ সময় সাহারা বেগম ছাগল নিতে চাইলে তাকে ছাগল দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ওই নিরাপত্তাকর্মী।
নিরুপায় হয়ে তিনি ইউএনওর কাছে গেলে তাকে তিনি বলেন, ‘ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল নিয়ে যান। ’ জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইউএনও গত শনিবার ছাগলটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে সাহারা খাতুন অভিযোগ করেন।
সাহারা বেগম জানান, ইউএনও’র বাসার গৃহকর্মী তাকে জানায় ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে বাঁকি তিন হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে ওই গৃহকর্মী।
তবে এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর বলে আসছেন তিনি ছাগল বিক্রি করেননি, জিম্মায় রেখেছেন উপজেলা পরিষদের পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে। ইউএনও সীমা শারমিন জানান, উপজেলা চত্বরে একটি পার্ক করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলের গাছ নিয়ে এসে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখানে ওই ছাগল এসে গাছের ফুলগুলো খেয়ে নিয়েছে কয়েকবার। এ বিষয়ে ছাগলের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু উনি কথা শোনেন নি। এ কারণে গণ-উপদ্রুপ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ছাগলের মালিকের অনুপস্থিতিতে এভাবে জরিমানা করা যায় কিনা জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজল জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইন মতে অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ স্বীকার করতে হবে। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান বা সম্পদের মালিকের বিরুদ্ধে এভাবে জরিমানা করা ঠিক হয়নি। এই ঘটনায় প্রচলিত বৈধ রীতি খোয়াড়ে ছাগল রাখতে পারতেন। অথবা বেশি ক্ষতি হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থানায় কিংবা আদালতে মামলা করতে পারেন।