cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে কলেজ অধ্যক্ষ সালেহ আহমদের বিরেুদ্ধে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে ছাত্রাবাসে থাকতে দিয়ে তিনি অপরাধীদের আশকারা দিয়েছেন। আর এই সুযোগে ছাত্রাবাসকে মদ ও জুয়ার আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলে ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তরা।
অভিযোগ জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে অধ্যক্ষ হওয়ার পর নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত করতে তিনি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন। ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডের পর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র সমালোচিত অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ দাবি করেছেন, তিনি অসহায়, পরিস্থিতির শিকার।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রনজিৎ সরকার ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নাম এসেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের সকলে নগরীর টিলাগড় এলাকায় ছাত্রলীগ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহূত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে তারা অধ্যক্ষের মৌখিক অনুমতিতে ছাত্রাবাসকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে।
জানতে চাইলে, অধ্যক্ষ সালেহ পূর্বের ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে, এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না। ২০১২ সালে ১২৮ বছরের পুরনো ছাত্রাবাস পোড়ানোর ঘটনার এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ জড়িত ছিল বলেও স্বীকার করেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ। তবে বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক বা প্রশাসনের একাংশ এদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন- এটা মানতে নারাজ তিনি।
অধ্যক্ষ সালেহ নিজের অবস্থা বুঝাতে গিয়ে ২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধরে পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন এমসি কলেজের এ অধ্যক্ষ। পত্র-পত্রিকা বা টিভিতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সেই খবর দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করেন। অধ্যক্ষ সালেহ আহমদের পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন। ২০০১ সালে বিগত জোট সরকারের আমলে তিনি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। সরকার দলের ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এ পদে রাজনৈতিক নিয়োগ হয় বলে মনে করা হয়।
২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রাবাসের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ব্লকে শিবির ক্যাডারদের আস্তানা গড়ে উঠেছিল। ২০১২ সালের ৮ জুলাই ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের পর শিবির কলেজ ছাত্রাবাস থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। সেদিন রাতে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের সময় কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে বিভিন্ন ব্লকের ৪২টি কক্ষ ভস্মীভূত হয়েছিল।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, করোনাকালীন যেখানে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সেখানে এমসি কলেজের মতো স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে যেভাবে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে, তা মেনে নিতে পারছি না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকাকালীন কীভাবে দুর্বৃত্তরা স্বামী-স্ত্রীকে ধরে নিয়ে ছাত্রাবাসে প্রবেশের সুযোগ পেল- কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এমসি কলেজের অদক্ষ, দায়িত্বহীন অধ্যক্ষ ও ছাত্রাবাসের সুপারের (তত্ত্বাবধায়ক) পদত্যাগ দাবি করছি।
এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বলেন, ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকে সন্তুষ্ট রেখে কলেজ পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ। কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডে জড়িতদের কয়েকজনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা সমকালকে বলেন, একজন মন্ত্রীকে ম্যানেজ করে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সালেহ আহমদ অধ্যক্ষ হয়েছেন।
অবশ্য অধ্যক্ষ হওয়ার সময় একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন স্বীকার করে সালেহ আহমদ বলেন, সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন অনুসন্ধান করে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পরও তদন্ত হয়েছে। সবক্ষেত্রে ইতিবাচক রিপোর্টের পরই আমি সবার সহযোগিতায় কলেজ পরিচালনা করছি।