cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
টানা চারদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের পাঁচ উপজেলায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় নতুন নতুন এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষ।
করোনাকালের মধ্যে এ বন্যা যেন মরার ওপর খারার ঘা হয়ে এসেছে। সিলেট জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো হলো, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট সদর, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাথে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বন্যার কারণে।
কোম্পানীগঞ্জ : জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এর ফলে উপজেলার প্রায় সব কয়টি গ্রামীণ সড়ক ও বাজারে পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি উপজেলার সাথে সবগুলো ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। এসময় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বন্যাকবলিত শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে খাদ্য সামগ্রী ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন। এসময় তার সাথে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসিন পাল চৌধুরী ও সুজন সাহা এবং ইউপির মহিলা মেম্বার নাজমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে বন্যাকবলিত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে জরুরি ত্রাণ তৎপরতার দাবি জানিয়ে শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনার মধ্যে উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখানে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন।
গোয়াইনঘাট :
সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটে গত চারদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার ডাউকি নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তীরবর্তী এলাকার কয়েক জায়গায় ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।পাহাড়ে বৃষ্টিপাত হলে যেকোনো সময় বন্যা পরিস্থির আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে লোকজনের জান মাল যাতে করে রক্ষা পায় সেই লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র। তবে, সরকারি বা বেসরকারিভাবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোথাও কোনো ত্রাণ সহাযতা দেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে থাকে। এক মাসের ব্যবধানে গোয়াইনঘাটে ফের বন্যা দেখা দেয়। তলিয়ে যায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক। সারী, গোয়াইন, ডাউকি ও পিয়াইন নদী দিয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন লক্ষাধিক মানুস। বসত বাড়িতে পানি উঠায় গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে রয়েছেন তারা। পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাফলং চা-বাগান এলাকায় কিছু শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আর কোনো ত্রাণ সহায়তা কোথাও দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।
বন্যার পানিতে বসত বাড়ির পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। অনেকের পুকুরের পাড় ডুবে গিয়ে মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ডাউকি নদীর প্রবল স্রোতে উপজেলার মমিনপুর, নয়াগাঙেরপাড় ও বাউরবাগ হাওর গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরফলে অনেকের বসত বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের প্রায় এক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ফসলি জমি নিমজ্জিত হওয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এর মধ্যে জাফলং চা বাগান ও রুস্তমপুরের কিছু এলাকায় চিড়া, গুড়সহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।বরাদ্ধ পাওয়ার সাথে সাথে তাৎক্ষণিকভাবে তা বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে লোকজনের জানমাল যাতে রক্ষা পায় সেই লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ প্রতিবেদন পর্যন্ত বন্যার পানি পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
জৈন্তাপুর :
বন্যায় জৈন্তাপুর উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন নদ-নদীর পানি বদ্ধি পেয়েছে। সারী নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বড়গাং, শ্রীপুর, রাংপানি নদীর পানি বদ্ধি পেয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাঘাট যানবাহন ও লোকজন চলাচল অনেকটা কম।
২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নর কেদ্রী, শেওলারটুক, বাওন হাওর, বাউরভাগ, লক্ষ্মীপুর, বিরাইমারা, লামনীগ্রাম, কাটাখাল গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
নিজপাট ইউনিয়নের বন্দরহাটি, মেঘলি, তিলকইপাড়া, নয়াবাড়ি, জাঙ্গালহাটিসহ বিভিন্ন এলাকা এবং পশ্চিম গৌরিশংকর, ডিবির হাওর, কামরাঙ্গীখেল, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জীবাড়ি, দিগারাইল, নয়াগাতি, বারগতি, হেলিরাই, গুয়াবাড়িসহ আরও অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
চিকনাগুল ইউনিয়নের কাটুয়াকাদি, কাপনাকান্দি, শিখার খাঁ গ্রামর অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই নৌকা দিয়ে চলাচল করছে।
দরবস্ত ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নে সেনগ্রাম, গর্দ্দনা, হাজারী সেনগ্রাম, তেলিজুরী, ছাত্তারখাই গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের বালিপাড়া, লামাশ্যামপুর, দলাইপাড়া এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
চারিকাটা ইউনিয়নে নয়াখেল, বালিদাড়া, থুবাং, ভিত্রিখেল, সরুখেলসহ আরও অনেক গ্রামে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আকস্মিক বন্যায় উপজেলার মৎস্যজীবিদের ফিসারি তলিয়ে গেছে, কৃষকদের ধানের চারা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এ উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জৈন্তাপুর উপজলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ।তিনি বলেন, বন্যাকবলিত লোকজনকে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সিলেট সদর :
একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে টানা বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে নতুন করে জনপদ তলিয়ে গেছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এ উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
সিলেট সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ, ২নং হাটখোলা, ৩নং খাদিম নগর,৭নং মোগলগাঁও, ৮নং কান্দিগাঁওসহ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে হাঁটখোলার উমাইগাঁও, জালালাবাদের মানসিনগর, রায়েরগাও, কান্দিগাঁও ছামাউরাকান্দি, নীলগাঁও, নলকট, মোগলগাঁও ৪নং ওয়ার্ড, খাদিমনগর আলীনগর, ঘোড়ামারা, ছয়দাগ, গনকিটুক, বাউয়ারকান্দি, বাইশটিলা, রঙ্গিটিলা, পীরেরগাও, মধুটিলা, মোকামবাড়ি, বাইলার কান্দি, রইরকান্দি, শিমূল কান্দি, যুগলটিলা, ছালিয়াসহ পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।
সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে সড়ক যোগাযোগ।বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।মানুষের ন্যায় বন্দি গবাদি পশুও। এতে দেখা দিতে পারে গবাদি পশুর খাদ্যসংকট। ফলে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন ওই এলাকার লোকজন।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। মানুষকে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। প্রস্তুত রেখেছেন উপজেলার সবকয়টি আশ্রয়কেন্দ্র।
কানাইঘাট :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট এলাকায় বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
লোভা ও সুরমা নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ১নং লক্ষ্মী প্রসাদ পূর্ব,২নং লক্ষ্মী প্রসাদ পশ্চিম, ৫নং বড় চতুল,কানাইঘাট পৌরসভা ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক বীজতলা তলিয়ে গেছে।