cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
তিন উপজেলা হচ্ছে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট।বন্যায় তিন উপজেলার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটে এক মাসের ব্যাবধানে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এ তিন উপজেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি।
পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সারী-গোয়াইনঘাট ও রাধানগর-গোয়াইনঘাট এবং সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়ক পানিতে তলিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।এসব সড়কের উপর দিয়ে কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং সারী, গোয়াইন, ডাউকি, ও পিয়াইন নদী দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল পর্যন্ত যা বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা-বাগান, মমিনপুর, আসাম পাড়া, আসাম পাড়া হাওর, ছৈলাখেল অষ্টম খণ্ড (আংশিক এলাকা) নবম খণ্ড, সানকি ভাঙ্গা, নয়াগাঙের পাড়, বাউরবাগ হাওর, ভিত্রিখেল হাওর, আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দার হাওর, তিতকুল্লিহাওর, বুধিগাঁও হাওর, রাজবাড়ি কান্দিসহ পশ্চিম জাফলং, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাটসহ বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে কৃষকের আউশ ধান, বোনা আমন, বীজ তলা এবং সবজি ক্ষেতসহ এ উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবি তলিয়ে যাওয়া ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮০০ হেক্টরের মতো হবে। যার মধ্যে ৮০০ হেক্টর আউশ ধান, ২০ হেক্টর বোনা আমন ও ২০ হেক্টর বীজ তলা এবং ১০ হেক্টরের মতো সবজি ক্ষেত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আউশ ধান, বোনা আমন ও আমন ধানের বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতসহ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আর যদি বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হয় তাহলে, তলিয়ে যাওয়া ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ডাউকি, গোয়াইন এবং সারী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবকটি ইউনিয়নের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। বন্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পানিবন্দি মানুষজনের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।