cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মোঃ কায়ছার আলী: হা-ডু-ডু আমাদের জাতীয় খেলা,কিন্তু কেন? আমার এক বন্ধু রসিকতা করে বলেন” বিপদে পড়লে আমরা অন্যের পা জড়িয়ে ধরি আর কেউ কাউকে উপরে যেতে দেই না মানে টেনে হিঁচড়ে নিচে নামাই। মানব শিশু জন্মের পর থেকে হাত পা ছুড়ে খেলা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, দেহের বিকাশ, মৈত্রী ও প্রীতির বন্ধন, ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত ইত্যাদি চেতনার নাম খেলাধুলা।
জনপ্রিয় খেলা ফুটবল একসাথে অল্পসময়ে দুই পক্ষেই সমান খেলোয়াড় নিয়ে বৃষ্টি হলেও খেলতে পারে। তবে সম্প্রতি ক্রিকেট ভক্তের সংখ্যা অগণিত। টেস্ট ম্যাচ, ওয়ানডে, টুয়েন্টি টুয়েন্টিতে নেমে এলেও দর্শক কমেনি। পেলে, ম্যারাডোনা, ইমরান খান, শচীন প্রমুখ তাঁদের দেশের হয়ে সম্মানের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় পতাকা পৎ পৎ করে উড়িয়েছেন। ১৯৯৯ সাল লন্ডনে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে শচীনের বাবা রমেশ টেন্ডুলকার অসুস্থ ছিলেন।
বাবা ছেলেকে কাছে ডেকে বললেন” আমার ভালমন্দ যাই হোক তুমি দেশের হয়ে খেলবে’। খেলা চলাকালীন মাঝরাতে দুঃসংবাদ পেয়ে সন্তান সম্ভবা স্ত্রী অঞ্জলী টেন্ডুলকার গাড়ি চালিয়ে লন্ডন থেকে লেস্টারে ভারতের টিম হোটেলে ছুটে যান। গভীর রাতে স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে শচীন বুঝতে পারেন খারাপ কিছু সংবাদ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। স্ত্রী বললেন” বাবা নেই”। পরদিন জিম্বাবুয়ের সাথে খেলা শোকে, কষ্টে, বেদনায়, জর্জরিত মন নিয়ে কেউ কি খেলতে পারে? একদিকে দেশ অন্যদিকে প্রাণপ্রিয় মহান বাবার লাশ।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন” আমি বেঁচে থাকলে দেশকে কিছু দিতে পারব কিন্তু আমার বাবার শেষ মুখটা আর দেখতে পাব না। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন” ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাবা মা সন্তান পয়দা করেন, সন্তান বাবা মা পয়দা করতে পারেন না।” তিনদিনের জন্য সময় নিয়ে বাবার সৎকারে ভারতে এসে বাবার মুখাগ্নি এবং শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠানে পর মাকে তাৎক্ষণিক সান্ত্বনা জানিয়ে পুনরায় প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে কেনিয়ার বির”দ্ধে অপরাজিত ১৪০* রান করে বাবাকে ঐ শতরান উৎসর্গ করেন। রোদে চশমার আড়ালে চোখ লুকিয়ে বিশ্বকাপের জন্য লড়াই শুরু করেন সেদিনই। শোকে স্তব্ধ শচীন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে জানান “মা-ই আমাকে পাঠিয়েছেন”। তখন থেকেই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন আগামী শতকটা হবে বাবার জন্য।
খেলার সময় তাঁর মনে পড়ত “বাবা খোলা মাঠের আকাশের ঐ দুর থেকে তাঁর খেলা দেখছেন।” লিটল মাস্টার বা ক্রিকেট ঈশ্বর সেঞ্চুরি উদযাপন করতেন আকাশের দিকে তাকিয়ে ব্যাট উঁচু করে (বাবার স্মরণে)।
বাবার আদেশে তামাকজাত পণ্য, মদ এর বিজ্ঞাপনে শতকোটি টাকার প্রস্তাব পেয়েও তা বর্জন করেন। হয়তো তাঁর বাবার মনের সিন্দুকে কি জমানো ছিল তা জানি না? হতে পারে, ছেলের দল দ্বিতীয় বারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা জিতবে। ২০১১ সালে ঐ আকাশের ঠিকানায় অনেক দুরে থাকা তাঁর বাবার স্বপ্ন পুরণ হল।পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, রাজ্যসভার সদস্য, ভারতরত্ন সহ সকল সম্মান অর্জন বিশ্বরেকর্ড উৎসর্গ করতেন তাঁর বাবাকে। জুন মাসের ৩য় রবিবার বাবা দিবসের দিনটি (একুশে জুন, সরি সবসময়) তামাম জাহানের জীবিত বা মৃত বাবা হউক একান্তভাবে সন্তানের। মৃত বাবা জীবিত বাবার চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে। অভিনন্দন শচীন টেন্ডুলকারকে এবং গভীর শ্রদ্ধা তাঁর বাবা রমেশ টেন্ডুলকারকে।
লেখকঃ শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট, ০১৭১৭-৯৭৭৬৩৪, kaisardinajpur@yahoo.com
সদস্য, দিনাজপুর কলামিস্ট এসেসিয়েশন, দিনাজপুর । ০১৮১৮-২৩০৯৭০