cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
ঈদের ছুটিতে ঘুরতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পানিতে ডুবে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও কিশোর। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের সময় বেড়াতে গিয়ে অসচেতনতা ও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের অনেকেই সাঁতার জানেন না, শিশুদের প্রতি নজরদারির ঘাটতি এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবেই এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। তারা মনে করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি ও কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ালে এই ধরনের দুর্ঘটনা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে কক্সবাজারে। ঈদের তৃতীয় দিন (৯ জুন) কলাতলী সায়মন বিচ পয়েন্টে গোসল করতে নেমে রাজশাহী থেকে আসা বাবা শাহীনুর রহমান (৬০) ও ছেলে সিফাত (২০) প্রাণ হারান। এর একদিন আগেই লাবণী পয়েন্টে চট্টগ্রামের এক যুবকসহ সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে ভেসে যাওয়া পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দা—এই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুই দিনে সৈকতে মারা যান ছয়জন।
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বাবুল আহমদ (৬০) ও তার মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৭) পুকুরে ডুবে মারা যান। হালিমা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী এবং আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথরে পানিতে ডুবে মারা যান ইমন (১৬) নামে এক কিশোর। এবং হবিগঞ্জে সোনাই নদীর রাবার ড্যামে বেড়াতে গিয়ে জলিল মিয়া নামের এক যুবক মারা যান।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় চাচা-ভাতিজা—মোহাম্মদ নাছির (৫৫) ও মোহাম্মদ আইরিয়ান (১৫) পুকুরে ডুবে মারা যান। এছাড়া লোহাগাড়ায় এক শিশুর মৃত্যু ঘটে ইটভাটার পুকুরে। তার নাম মোহাম্মদ তানজিম (৪)।
এছাড়াও লক্ষ্মীপুরে হাঁস খুঁজতে গিয়ে পুকুরে ডুবে আব্দুর রহিম (৪৫) মারা যান, দিনাজপুরে ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে এক শিশু ও এক কিশোর মারা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়, গাইবান্ধায় করতোয়া নদীতে মারা যান জবেদ আলী (৬২), কুমিল্লায় বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে হোসাইন (১৬ মাস) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়, লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে আপন (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম—এসব জেলাতেও শিশুসহ একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে ঈদের ছুটিতে কানাডার টরন্টোতে স্টারজন লেকে ডুবে মারা যান বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন সাইফুজ জামান গুড্ডু এবং বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব। তারা অন্টারিও প্রদেশের কাওয়ার্থা লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
জনস্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের সাঁতারে প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের তদারকি এবং পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, “ঈদ বা যেকোন উৎসবে ভ্রমণকালীন সময় যেন দুর্ঘটনাময় না হয়, সে জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।”
ঈদের আনন্দ যাদের পরিবারে শোক বয়ে এনেছে, তাদের জন্য এ ঈদ আজীবন কষ্টের স্মৃতি হয়ে থাকবে। পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ—উভয়েরই প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি।