cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
চট্টগ্রামে প্রতিবেশীকে অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো মামলার আসামি হয়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। স্রেফ সহযোগিতার মানসিকতা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে এখন তিনি নিজেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, আর তাঁর পরিবার ভেঙে পড়েছে হতাশায়।
৬ মার্চ রাতে নগরের আকবর শাহ থানার প্রভাতি স্কুলের বিপরীতে আবেদীন আল মামুন ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালক শহীদুল ইসলাম অপহৃত হন। অপহরণকারীরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য পরিচয় দিয়ে মামুনের স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নগদ ৫ লাখ টাকা আদায় করে এবং বাকি ১৫ লাখ টাকার চেক নেয়। পরবর্তীতে পুলিশি তৎপরতায় মামুন ও চালককে ফয়’স লেক এলাকায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
ঘটনার পরপরই মামুনের গাড়িচালক ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অভিযানে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থীও। অথচ মামলার বাদী, ভুক্তভোগী এবং তাঁর স্ত্রী সবাই জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে তাঁরা নিজেরাই ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকেছিলেন। তিন অভিযুক্ত অপহরণকারীর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতেও তার কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলেনি।
আসলে, অপহরণকারীরা যখন মামুনকে তুলে নিচ্ছিল, তখন তাঁর স্ত্রী পাশের বাসায় থাকা ওই শিক্ষার্থীকে ফোন করে সাহায্য চান। শিক্ষার্থী এসে চেষ্টা করেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। মামুন নিজেই তাঁকে সঙ্গে নেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দেহ করে তাঁকেও আটক করে।
পরিবার ও ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে বারবার জানালেও পুলিশ তাঁদের কথা আমলে নেয়নি। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তারাও পরবর্তীতে বলেছেন, ওই শিক্ষার্থীর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আদালতের জামিন আদেশেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, তিন আসামির জবানবন্দিতে শিক্ষার্থীর নাম নেই।
তবু, ছয় দিন কারাভোগ করতে হয় তাঁকে। জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি এখন চরম ট্রমায় ভুগছেন। বাসা থেকে বের হতে পারছেন না, জনসম্মুখে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর বাবা বলেন, “মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েই আমার ছেলে বিপদে পড়ে গেছে।”
এ ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই না করেই যেভাবে একজন নির্দোষ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে, তা পুলিশের দায়িত্বহীনতারই প্রতিফলন বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। তাঁর মতে, “ফুটেজে কাউকে দেখা গেলেই সে অপরাধী, এমনটা নয়। কে কী ভূমিকা রেখেছে, তা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি।”
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন জানান, তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে ওই শিক্ষার্থীর নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।