cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন অবৈধ উপায়ে ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অর্জন করেছেন এবং এর মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার বিকেলে ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘অর্গানাইজড ক্রাইম’ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব বলেন, “ইমরান হোসেন ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌহিদুল আলম জেনিথসহ এই চক্রের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।”
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, দেশি গরু-ছাগলকে ‘বিদেশি ও বংশীয়’ বলে প্রচার চালিয়ে ঈদুল আজহার কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রো অবৈধভাবে ১২১ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে।
এছাড়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ এনে বিক্রি করতেন ইমরান ও তার সহযোগীরা। নেপাল ও ভুটান থেকেও চোরাচালানের মাধ্যমে গরু এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে আমদানি করা নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করা হয়। সেগুলো ‘শাহিওয়াল’ নামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়েছিল, যা পরে জাল কাগজপত্র হিসেবে চিহ্নিত করে শুল্ক বিভাগ। সেদিন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন ইমরান হোসেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইমরান হোসেন ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা তার মালিকানাধীন জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড নামে এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট) খুলে বিনিয়োগ করেছেন, যা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় পড়ে।
এছাড়া, মোহাম্মদপুর এলাকায় সরকারি খাল ভরাট ও দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত বছর কোরবানির ঈদে ইমরান হোসেনের প্রতিষ্ঠান একটি ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকায়। পরে এক তরুণ ১২ লাখ টাকায় ছাগলটি কেনার চুক্তি করেন। এরপর ওই তরুণের বাবা এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে আসে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব জানান, “তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না, তবে ইমরানের সহযোগী তৌহিদুল আলম জেনিথ এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আরও পাঁচ থেকে সাতজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে।”
ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশে ইমরান হোসেনের ২৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাও রয়েছে।
সিআইডির দাবি, ইমরান হোসেনের পাচার করা অর্থ থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করা হয়েছে।