cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
বাংলা একাডেমি যাদের পুরস্কৃত করেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন গণহত্যায় উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিক্ষুব্ধ লেখক-সমাজ এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নেতারা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার, ফ্যাসিবাদের অপসারণ ও পুরস্কার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বাংলা একাডেমি ঘেরাও কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন এ সংগঠনের নেতারা।
বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার, ‘ফ্যাসিবাদী’দের অপসারণ এবং পুরস্কার ‘কেলেঙ্কারি’তে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে একাডেমির সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে ‘বিক্ষুব্ধ কবি-লেখক সমাজ’ ও ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ নামের দুটি প্লাটফর্ম।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর তাদের একটি প্রতিনিধি দল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় শনিবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়।
আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ।
সেখানে বলা হয়, “উদ্ভূত সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবং পুরস্কার-তালিকাভুক্ত কারও কারও সম্পর্কে কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় পূর্বঘোষিত ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন সম্পর্কে আলোচনা হয়।”
সেসব অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা তালিকা স্থগিত করা হয় বলে জানায় বাংলা একাডেমি।
ঘেরাও কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদ বলেন, “বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।”
একাডেমির মূল কাজ গবেষণা হলেও সেই জায়গা থেকে একাডেমি সরে গেছে অভিযোগ করে তরুণ এই সাহিত্যিক বলেন, “তারা এখন বইমেলার আয়োজন আর পুরস্কার দেওয়ার কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। মূল কাজ যে গবেষণা, তা নিয়ে তাদের কোনো কাজ নেই।”
“বাংলা একাডেমির পুরস্কার যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকে যোগ্য। তবে দুয়েকজন ফ্যাসিবাদের দোসর রয়ে গেছেন। এখন পুরস্কার স্থগিত করার কারণে যোগ্যদেরও তো অপমান করা হল। এই দায় পুরস্কারের জুরি বোর্ডকে নিতে হবে। জুরি বোর্ডে যারা আছেন, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
লেখক আবিদ আজম বলেন, “স্বৈরাচারের দোসরদের পুরস্কার স্থগিত নয়, বাতিল করতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারের সময় বাংলা একাডেমিতে অনেক অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে বাদ দিতে হবে। পুরস্কারের জুরি বোর্ডে যারা ছিলেন, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।”
মামুন সারওয়ার বলেন, “বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ড. শহীদুল্লাহকে নিয়েও তারা কোনো কাজ করেনি। এই বাংলা একাডেমি একটা পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ছিল, তা হল শেখ হাসিনার পরিবার। বাংলা একাডেমিতে আমূল সংস্কার করতে হবে।”
এবিএম সোহেল রশিদ বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলা একাডেমি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে কবি মঈন মুনতাসীর, কবি সাম্য শাহ, মাহবুব হাসান, শাকিল মাহমুদ, পলিয়ার ওয়াহিদসহ অনেকে সেখানে বক্তব্য দেন।
এরপর সাহিত্য পুরস্কারে লেখকদের তালিকায় কোনো নারী লেখক না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করে শুক্রবার ফেইসবুকে পোস্ট দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এ পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের সময় এসেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর পরদিন তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি। সংস্কৃতি উপদেষ্টা পুরস্কার স্থগিতের খবর ফেইসবুক পোস্টে জানান। পুরস্কার স্থগিতে উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ রয়েছে বলেও ফেইসবুকে লেখেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পুরষ্কার প্রাপ্তদের নিয়ে নিয়ে নানান আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে ছিলেন— কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্য-সাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেওয়ার কথা রয়েছে।