cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তাদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। দেশটিতে বিদ্রোহীদের উত্থান ও প্রেসিডেন্টের পলায়ন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সুযোগ এবং সংকট উভয় রয়েছে। বর্তমানে বিরোধীরা সঠিক কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আনন্দিত। তারা একটি ভবিষ্যত সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মধ্যপন্থি। তবে বিদ্রোহীরা তাদের এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে কিনা তাও যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করবে।
তিনি বলেন, সিরিয়ার জনগণের দ্বারা পরিচালিত কর্তৃপক্ষের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পুনর্গঠনে মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।
আলজাজিরার জানিয়েছেঠ, সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ ঘাঁটিতে ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। তারা আসাদের পলায়নের দিনও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএলের অবস্থানকে নিশানা করে অন্তত ৭৫ হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় তাদের ক্যাম্প ও অভিযানকে নিশানা করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সেন্টকম কমান্ডার মাইকেল কুরিলা বলেন, সিরিয়ার সমস্ত সংস্থার জানা উচিত যে তারা যদি আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে অংশীদারত্ব করে বা সমর্থন করে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জবাবদিহি করবে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা হুগো বাচেগা এক বিশ্লেষণে বলেন, ২০১১ সালে বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নৃশংসভাবে দমন করার কারণে আসাদকে সিরিয়ার মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। কারণ, এরপরই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই যুদ্ধে ৫ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়। এ ছাড়া আরও ৬০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়।
তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে বাশার বিদ্রোহ গুঁড়িয়ে দিয়ে এতদিন ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। রাশিয়া তার প্রতাপশালী বিমানবাহিনী ব্যবহার করেছে, ইরান সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে। আর প্রতিবেশী লেবাননের হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের প্রশিক্ষিত যোদ্ধা পাঠিয়েছে আসাদ বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য। মূলত এ তিন শক্তিশালী মিত্রের সহযোগিতার কারণে ২০১১ সালের বিদ্রোহ সামাল দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিলেন বাশার।
তিনি আরও বলেন, এবার মিত্রদের তেমন কোনো সহায়তাই পায়নি আসাদ সরকার। কারণ মিত্ররা তাদের নিজেদের সমস্যা নিয়েই ব্যস্ত এখন। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর সেখানে যুদ্ধ করছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে গত বছর হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়, যা এখনো চলছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানেরও পাল্টাপাল্টি কিছু হামলা হয়েছে। এরপর ইরান ইসরায়েলকে মোকাবিলা করা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সিরিয়ায় নতুন সংঘাতে সরাসরি জড়াতে চায়নি। মিত্রদের সহায়তা না পাওয়ায় ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যত কোথাও কোথাও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আসাদের সেনারা। আবার কোথাও কোথাও বাধা না দিয়ে তারা পালিয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে বিদ্রোহী বাহিনী কোনো রকম প্রতিরোধের মুখে না পড়েই প্রথমে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পো দখল করে নেয়। তারপর হামা এবং কয়েক দিন পর হোমস নগরী দখল করে নেওয়ায় রাজধানী দামেস্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দামেস্ক দখল করে নিতে তাদের বেগ পেতে হয়নি। বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কে ঢোকার সময়ই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এর মধ্য দিয়ে আসাদ পরিবারের ৫ দশকের শাসনের ইতি ঘটে।