ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ওপার বাংলার আরজি কর হাসপাতালের একজন তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ভারতের জনগন ফুঁসে উঠেছে। চলছে তীব্র আন্দোলন। এই আবহের মাঝে পশ্চিমবঙ্গকে ‘নিরাপদ’ এবং ধর্ষণকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে বিপদে পড়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতীয় ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি অধিনায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা। এমন কি, সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়ে-বউ সানা-ডোনাকেও নিয়ে হতে থাকে আক্রমণ।

সৌরভ বলেছিলেন, ‘এটা ভীষণ ভুল। এটা ঠিক নয়। সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সিসিটিভি লাগাতে হবে। তবে এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভারত একটা দারুণ দেশ, সেটা পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য কোনও রাজ্য হোক। বেশ ভালো শহরে, ভালো রাজ্যে আমরা বাস করি। একটা ঘটনা দিয়ে গোটা ব্যবস্থার বিচার করা উচিত নয়। তবে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতাল, রাস্তায় সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি বাড়াতে হবে।’

সাবেক বিসিসিআই সভাপতির এমন মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, ‘সরি টু সে সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ আমি সত্যিই দুঃখিত যে, তোমাকে মানুষ যেভাবে, তোমার দাদাগিরি, তোমার ক্রিকেট, তোমাকে মহারাজা, মানুষ তোমাকে যে আসনে বসিয়েছেন। তুমি এটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছো!… এইসব সোহম হর্লিক্সের পার্টি, তারা বলছে পুলিশ আছে বলেই শহরে মেয়েরা সুস্থ আছে। এই মানুষগুলোকে চেনার এটা মোক্ষম সময় হয়ে গিয়েছে। যে মানুষগুলোকে আমরা উপরে রেখেছি, তাঁরা মানুষ বলার যোগ্য নয়। তাঁদের টেনে নামিয়ে আনো নীচে।’

অনেকেই সৌরভকে এই মুহূর্তে বাংলার আইকন মানতে নারাজ। অনেকেই বলছেন, গ্রেগ চ্যাপেল ঠিকই চিনেছিলেন স্বার্থপর সৌরভকে! রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণেই নাকি সৌরভ এমন গুরুতর বিষয়কে লঘু করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

সৌরভের ‘দাদাগিরি’ অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছেন আরেক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী, ‘আমি কোনোদিন দাদাগিরি তে যাইনি। যাওয়া হয়নি। আর কোনোদিন যাবনা। ধর্ষণের পর হত্যা কোনো দুর্ঘটনা নয়। আমাদের সুন্দর দেশে কোনো বয়সের মেয়েরাই নিরাপদ নয়।’

তীব্র সমালোচিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে সৌরভ মুখ খুলেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমকে সৌরভ বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম এটা ভয়ানক ইস্যু। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হয়েছে। এখন অন্দোলন অনেক এগিয়েছে। সিবিআই তদন্ত করছে। এই ঘটনা লজ্জাজনক। আশা করব সিবিআই দোষীদের ধরতে পারলে কড়া শাস্তি দেবে। যাতে পরবর্তীতে এরকম কিছু করার আগে মানুষ একশোবার ভাবে।’

সঙ্গে ডাক্তারদের লাগাতার ধর্মঘটে সৌরভ বলেন, ‘রোগীদের দিকটাও চিকিৎসকদের ভাবা উচিত। কারণ প্রচুর মানুষ চিকিৎসকদের মুখের দিকে চেয়ে থাকেন। চিকিৎসা না হলে সে ক্ষেত্রেও প্রচুর অসুস্থ মানুষদের অসুবিধে হয়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল