cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সাইফুল ইসলাম : ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রবাসী আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিজেদের চ্যানেলে আনতে তৎপরতা বাড়াচ্ছেন মৌলভীবাজারের হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জেলার আড়াই লাখের বেশি মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করে।
তথ্য বলছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হুন্ডি বাণিজ্যের (এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ স্থানান্তরের একটি অনানুষ্ঠানিক উপায়) মাধ্যমে কিছু দ্রুত নগদ উপার্জনের জন্য দুই ঈদ উৎসবের সময় বাংলাদেশে ঘন ঘন ভ্রমণ করে।
ফলে এই অবৈধ চ্যানেল দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে প্রবেশ করে।
জেলার একাধিক ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারে সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ নামে একটি মাত্র বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় রয়েছে অন্তত শতাধিক অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান।
তবে লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীরা দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে মিলে ডলার-পাউন্ড কেনাবেচায় সক্রিয় রয়েছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এমন নয়জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, জমির মিয়া ও তার সহযোগীরা এখন হুন্ডি ব্যবসায় সক্রিয় হয়েছেন। শহরের প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় হুন্ডি ব্যবসা করছেন তারা।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জমির মিয়া বলেছেন, “আমি প্রবাসে থাকি। সম্প্রতি দেশে ফিরেছি। এসব ব্যবসায় জড়িত নই। একসময় বেরিরপাড় এলাকার মার্কেটে আমার দোকান ছিল। তখন ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছিল। তবে আমি এই ব্যবসা করি না।”
এসএ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে মানি এক্সচেঞ্জ পরিচালনার নামে হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তবে তার দোকান বন্ধে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ খুব একটা তৎপর নয়।
এসব অবৈধ ব্যবসায়ী এমনকি বিদেশে এসব বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
প্রবাসীদের অভিযোগ, এসব দোকানে যে কোনো নোট বদলাতে গেলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই দোকানের মালিক এবং তাদের কর্মীরা তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে প্রথমে মুদ্রার নোটে হাত পেতে। কিন্তু তাদের দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ।
তাদের অভিযোগ, মৌলভীবাজারের বেরির পাড় এলাকায় সোনালী ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা শাখায় ডলার-পাউন্ড বিনিময় হয় না। এই পরিস্থিতি বেশিরভাগ সেবাপ্রার্থীকে এই অবৈধ দোকানগুলোতে যেতে বাধ্য করে।
এসব বেপরোয়া মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মধ্যে রয়েছে, সাইক এন্টারপ্রাইজ, সেন্টু এন্টারপ্রাইজ, হাকিম আহমেদ, আনোয়ার এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক টাইলস অব রয়্যাল ম্যানশন এবং শাহ মোস্তফা টেলিকম।
এ ব্যাপারে জানতে এস এ ট্রাভেলসের প্রোপ্রাইটর আব্দুল হান্নানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
সোনালী ব্যাংকের মৌলভীবাজার প্রধান শাখার এজিএম কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আমাদের শাখায় ডলার-পাউন্ড এক্সচেঞ্জ করা যায় না, এই কথা সঠিক নয়। অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান যাতে গড়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার তৎপর আছে। এছাড়া বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো ও মুদ্রা ভাঙানোর বিষয়ে নানাভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি যারা অবৈধভাবে ডলার-পাউন্ড ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলে আসছি আমরা।’’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম বলেন, ‘‘অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, ‘‘এসব অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের তদারকি আছে। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভিযোগ ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ এবং হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অভিযান চালাবো আমরা।’’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে বৈধ ২৩৪টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান আছে। অবৈধ মানি চেঞ্জারের সঙ্গে যে কোনো প্রকার লেনদেন, দোকান ভাড়া চুক্তি সম্পাদন ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার জন্য ভবন মালিক এবং সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।