সর্বশেষ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

হাওরের এক নলকূপে অনবরত পড়ছে পানি, আরেকটিতে জ্বলে আগুন

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার একটি গ্যাসক্ষেত্রের পাশের হাওরের দুটো নলকূপ থেকে চাপ ছাড়াই দিন–রাত পানি বের হচ্ছে। নলকূপের ওপর দিয়ে বাতাসের সঙ্গে বের হচ্ছে গ্যাস। দেয়াশলাই জ্বালালে জ্বলছে আগুনও।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওরের দুধারকান্দি এলাকায় নলকূপ দুটির অবস্থান। একটি এক বছর আগে এবং অন্যটি সম্প্রতি বসানো হয়েছে। জামালগঞ্জ উপজেলার পাশেই সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ২৫৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২০০৯-১০ সালে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা গ্যাসক্ষেত্র (সুনেত্র) চিহ্নিত হয়।

জামালগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে হালির হাওরের দুধারকান্দি এলাকার দূরত্ব ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার। নলকূপ দুটি হাওরের একেবারে মধ্যবর্তী দুর্গম এলাকায়, আশপাশে গ্রাম নেই। বৈশাখ মাসে হাওরের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য হাওরপারের বাসিন্দারা অস্থায়ী নিবাস গড়েন। স্থানীয়ভাবে এটাকে ‘জিরাতি’ বলে। ফসল তোলার পর এসব অস্থায়ী ঘর ভেঙে ফেলা হয়। ওই সময় বিশুদ্ধ পানির জন্য ওই নলকূপ বসানো হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনকে (পেট্রোবাংলা) জানানো হয়েছে। এ–সংক্রান্ত কারিগরি দল সরেজমিনে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

সরেজমিন দেখা যায়, হাওরের উঁচু অংশে একদিকে একটা অগভীর নলকূপ। সেখান থেকে উত্তরে ৩০০ ফুট দূরে আরেকটি গভীর নলকূপ। দুটি থেকেই অনবরত পানি পড়ছে। অগভীর নলকূপটি গত বছর বসানো হয়। গভীর নলকূপটি বসানো হয়েছে ১৫ দিন আগে। পুরোনো নলকূপে আগে থেকে পানি পড়লেও দুর্গম হাওরে হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়নি। গভীর নলকূপটি বসানোর পর চাপ ছাড়াই পানি বের হতে থাকে। নলকূপের মাথায় আগুন দিলে বাতাসে আগুন ধরে যায়। এক কৃষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

হাওরপাড়ের জারাকোনা গ্রামের কৃষক মো. আলী আকবর বলেন, তিনি গত বছর প্রথম সেখানে নলকূপ বসান। তিনশ ফুট পাইপ বসানোর পর পানি ওঠে। গত বছর হাওরের ধান তুলে সবাই যার যার গ্রামে চলে যান। এবার এসে দেখেন, পানি বের হচ্ছে।

এবার এক কৃষক খেয়াল করেন, পানি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নলকূপের ওপরের অংশ দিয়ে বাতাস বের হচ্ছে। বাতাসে আগুন দিলে আগুন ধরে যায়। এর পর পাশেই গভীর নলকূপটি বসান আরেক কৃষক। এটিতে আরও বেশি পানি আসতে থাকে। পরে ওই কৃষক পাইপের ওপরের অংশে পাকা বাক্সের মতো করে দিয়েছেন, যাতে পানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে না যায়।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন আহমদ হোসেন বলেন, নলকূপগুলোর পানি পরীক্ষা করে পান করা উচিত। পানিতে বিষাক্ত ধাতু থাকতে পারে। এ পানি পান করলে ক্ষতি হবে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বোঝা না-ও যেতে পারে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাপেক্সকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন তারা উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: