cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
মিনিস্ট্রি অডিটের নাম করে লালমনিরহাটে শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ধরনের অবৈধ লেনদেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বা সরকারের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লালমনিরহাটে শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টিকে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দফতর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে জানিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত বহু আগে থেকেই মফস্বলের শিক্ষক সমাজের কাছে ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ নামে পরিচিত। যদিও ‘ডিআইএ’ নামে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দাবি করে থাকেন, অডিট এবং তদন্ত ভিন্ন। কিন্তু নিজেরা যখন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান তখন নিজেদের ‘মিনিস্ট্রি কর্মকর্তা’ এবং ‘অডিট করতে এসেছেন’ এই দুই শব্দ ব্যবহার করে শিক্ষক-কর্মচারীদের জিম্মি করে ফেলেন।
সম্প্রতি লালমনিরহাটে ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ এর নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে ও প্রলোভনে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এর আগে গত বছর যশোরের মণিরামপুর পৌর শহরের মণিরামপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসা, হাজরাকাঠি মহিলা আলিম মাদ্রাসা, ডুমুরখালি দাখিল মাদ্রাসা, মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসা, বালিধা-পাঁচাকড়ি দাখিল মাদ্রাসা, রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজীআলী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অডিট করবে জানিয়ে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
যশোর জেলা ও মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো চিঠিতে, অডিটে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়। পরে অধিদপ্তরের পরিদর্শক পদমর্যদার কর্মকর্তা ড. এনামুল হক যশোরে এসে একটি রেস্ট হাউজে ওঠেন এবং শিক্ষা অফিসের কর্মচারীদের মাধ্যমে ওই ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে রেস্ট হাউজে দেখা করতে বলেন। এরপর কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ড. এনামুল হকের সঙ্গে দেখা করে অডিটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ‘তিনি একজন আজব অডিট কর্মকর্তা এবং আজব অডিট করে গেলেন’। কারণ হিসেবে বলেন, ‘ওই রেস্ট হাউসে দেখা করলে তিনি প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ধরে বলেন, আপনাদের অনেক ফাঁক-ফোকর! প্রকৃত অডিট হলে পুরাতন-নতুন বহু শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা ধরা পড়বে। এতে তার বেতন বন্ধ হবে, অবসরে গেলে পেনশন পেতে দুর্ভোগ হবে আবার ক্ষেত্রবিশেষ বহু শিক্ষকের চাকরিও যাবে। ফলে, আপনারা ঝামেলা না চাইলে, আমিও ঝামেলা করতে চাই না। আপনারা কোন পথে যাবেন, নিজেরা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঠিক করেন। ’
অডিটরের কথা মতো এবং পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা স্ব স্ব বিদ্যালয়ে ফিরে কথাগুলো শিক্ষক-কর্মচারীদের জানিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এটা নতুন কিছু না, প্রতি ১০ বছর অন্তর ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ হয়। ফলে আমাদের বাড়াবাড়ি না করে এ মাসের বেতন তাকে ঘুষ হিসেবে দিয়ে ঝামেলামুক্ত হওয়া ভালো। ’
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনের আওতায় যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করেন।