cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
বিএনপি বিহীন আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট এবং জোট এর বিষয়ে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং পরাজিত হলে সত্যিকারের বিরোধী দল হবে। কিন্তু জাতীয় পার্টি জোটগত ভাবে নির্বাচন না করলেও কাঙ্খিত আসনে নিজেদের প্রার্থী জেতাতে নৌকার সাথে সমঝোতা চাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে নানা কৌশল হাতে নিয়েছে দলটি। বিশেষ করে সমমনা দল এবং জোট নেতাদের সাথে দফায় দফায় নির্ধারিত-অনির্ধারিত বৈঠক করছেন তারা। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ করতে আওয়ামী লীগের শরীক ১৪ দল তাদের কৌশলের মধ্যে থাকলেও জাতীয় পার্টি সেক্ষেত্রে ভিন্ন।তারা এবার জোটে না থাকলেও নিজেদের প্রার্থী জয়ী করানোর মাধ্যমে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের কৌশলে এক হয়ে থাকতে চান।
এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার বাসায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতীয় পার্টি থেকে প্রায় ৩৫ জনের একটি তালিকা ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেন জাপা মহাসচিব। জাতীয় পার্টির দাবির প্রেক্ষিতে আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা জাপা নেতাদের জানান।
বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি থেকে ২৩ জন এমপি রয়েছেন। তবে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কমবেশি ৩৫টি আসনে ছাড় পেতে যাচ্ছে।
যদিও বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠকে আসন বন্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টি আসন ভাগাভাগির বিষয়টি মহাসচিব এড়িয়ে গেলও বৃহস্পতিবার বনানী অফিসে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজনীতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় না। প্রত্যেকটা দলের কৌশল থাকে, আমরা আমাদের কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। গতকাল আলোচনায় বিশ্বাস এসেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টির এমপিরা হলেন ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-১ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ রাহগির আল মাহি এরশাদ, কুড়িগ্রাম-২ পনিরউদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, বরিশাল-৪ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তুম আলী ফরাজী, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. মুজিবুল হক, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশিদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ এ কে এম সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান, ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে কি কৌশলগত ঐক্যে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ করার না শর্তে দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায়।
ইতিমধ্যে বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও প্রায় ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অনেক কিছু হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা হলে, সেখানে কি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে না ডামি ক্যান্ডিডেট হিসেবে থাকবে, সেটি আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান হবে।
আওয়ামী লীগ আগে থেকেই বলে আসছিল তারা সংসদে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে দেখতে চায়,তাহলে এখন কেন সমযোতার প্রশ্ন আসছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য আমরা সবার সাথে আলোচনা করছি। সমঝোতা হলে অনেক কিছুই হতে পারে। এখনও অনেক সময় আছে। এখনও আলোচনা চলছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন পর্যন্ত এটি চলবে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল জোট হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবংসেই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে মহাজোট।
এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট না করেই নির্বাচন করে জাতীয় পার্টি। ওই ভোটে জোট না থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিল। এমন ৩৪টি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে না থাকলেও ভোটে আসন ভাগাভাগি করে জাতীয় পার্টি। গত সংসদ নির্বাচনে তাদেরকে দেয়া হয় ২৬টি আসন। এর মধ্যে তারা জয় পায় ২৩টিতে। এই সংসদেও বিরোধীদলের আসনে রয়েছে জাতীয় পার্টি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।