cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
কানাডায় আত্মগোপনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীর অবশেষে দেখা মিলল। কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়। ৪২ মিনিটের বিশদ এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ক্যামেরাবন্দী নূর চৌধুরী।
প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়া বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
আল শিফা হাসপাতাল এক ঘণ্টায় খালির নির্দেশ ইসরায়েলের
‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এর প্রতিবেদনে টরেন্টোর নিজ ফ্লাটের বেলকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। দেখা মিলেছে সত্তোরোর্ধ সাদা চুলের কেতাদুরস্ত নূর চৌধুরীর। শোনা গেছে তার কণ্ঠও। সিবিসির রেডিও সাক্ষাৎকারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ক্যামেরা হাতে টেলিভিশনটির ফিফথ স্টেটের সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যান তিনি। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থাতে ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।
এরআগে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বাংলায় লেখেন, ‘গত ৭ মাস আমরা ছুটে বেরিয়েছি অটোয়া থেকে টরোন্টো, টরোন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি। জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু
টরোন্টো থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট এলাকা ইটোবিকো। এখানেই একটি কনডোমিনিয়ামের তিনতলায় থাকেন ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ, যিনি প্রতিদিনই পড়ন্ত বেলায় ব্যালকনিতে আসেন ফুলের পরিচর্যা করতে। কানাডায় মুক্তভাবে জীবনযাপন করা এই বৃদ্ধই বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান, নূর চৌধুরী।
এদিকে, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলেছেন, ‘এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।’
বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরবর্তীতে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে।
এরপর ১৯৯৯ সালে শরনার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার নূর চৌধুরীর আবেদন নাকচ করে দেয়। পরে আপিল করেও হেরে যান তিনি। ২০০৯ সালে নূরকে কানাডা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে- এমন শংকার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’-এর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।
নূর চৌধুরী কেথায় আছেন, কী করছেন- এ নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় সবাই দীর্ঘদিন ধোয়াশার মধ্যে ছিলেন। তবে এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোয়াশা কেটে গেল অনেকটা। এছাড়া কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবেন।
সিবিসি টেলিভিশন ছাড়াও তাদের অ্যাপস জেম (Gem), ওয়েবসাইট cbc.ca এবং ইউটিউব চ্যানেল: www.youtube.com/@cbcfifth থেকেও অনুসন্ধানী রিপোর্টটি দেখতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষ।