সর্বশেষ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

৩২ হাজার শিক্ষকের স্বপ্নদ্রষ্টা সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। পরিচিতি পেয়েছেন গরিবের আইনজীবী হিসেবে। চাকরি সংক্রান্ত (সার্ভিস ম্যাটার) মামলায় একাধিক রায় পেয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। তার বুদ্ধিদীপ্ত আইনি লড়াইয়ে শিক্ষকসহ ও অসংখ্য চাকরিজীবীর ভাগ্য বদলেছে। হাজারও পথহারা যুবক বেকারত্বের বোঝা থেকে মুক্তি পেয়েছে।

বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে সার্ভিস ম্যাটার বিশেষজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে পরিচিত মুখ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। নিয়োগ জটিলতা, পদোন্নতি, বদলি জটিলতা, বেতন স্কেল বৃদ্ধি, বেসরকারিদের সরকারিকরণ, বিসিএসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনি লড়াই করেন তিনি। তার প্রচেষ্টা আশার আলো দেখছেন সকল বিসিএস’র নিয়োগ বঞ্চিতরা। ফলে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত বঞ্চিত হাজারো চাকরিপ্রার্থীর স্বপ্নদ্রষ্টায় পরিণত হয়েছেন সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। তার হাত ধরেই নিয়োগ বঞ্চিত ৩২ হাজার প্রাইমারি সহকারি শিক্ষক ফিরে পেয়েছেন চাকরি। ওই মামলার রায় উচ্চ আদালতের আলোচিত রায়গুলোর ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।

সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া খ্যাতি পেয়েছেন শিক্ষক বন্ধু ও চাকরির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে। এ ছাড়াও কৌশল, বিচক্ষণতা, আইনি জ্ঞান ও ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে একজন আদর্শ আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন তিনি। শুধু আইন পেশায়ই নয় করোনায় মানবিক সেবা দিয়েও প্রশংসিত হয়েছেন এ আইনজীবী।

শুধু শিক্ষা বিষয়ক মামলার সফলতা নয়, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির মামলা, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ মামলা, এনটিআরসি সম্পর্কিত মামলা, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন প্রশাসনিক মামলায় সফল। জানা গেছে, সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া আইন পেশায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো মামলা লড়েছেন অধিকাংশই সার্ভিস মেটার। এ ছাড়াও মাঝেমধ্যে প্রজেক্টের মামলা করেন তিন। প্রায় দেড় হাজারের অধিক রিট মামলা করেছেন। তার মধ্যে অধিকাংশ তার পক্ষে রায় এসেছে।

৩২ হাজার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে সফলতা

২০১০ সালে বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগ বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ান এ আইনজীবী। ওই নিয়োগে ১৪ হাজারের মতো প্রার্থীকে নিয়োগও দেয় সরকার। এতে মেধাতালিকার প্রথম দিকে থেকেও অনেকে নিয়োগবঞ্চিত হন। ২০১৩ সালে বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলে প্যানেল থেকে নিয়োগ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।

এরপর নিয়োগ বঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত নওগাঁর মহাদেবপুরের ১০ জন শিক্ষক ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন এবং রিট আবেদনকারী ১০ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যরা আপিলের অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে। আপিল বিভাগে তা খারিজ হয়। ১২৭টি রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে সদ্য জাতীয়করণ করা বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে রিটকারীদের ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।

২০১০ সালে সারা দেশে ১৪০০ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয় কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০০ প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করে দেয়া হয়। উক্ত বাতিলকৃত ৫০টির মতো প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট/আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হয়ে বর্তমানে চলমান আছে।

যেভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য লড়ছেন সিদ্দিক উল্যাহ

প্রতিবন্ধী রাসেল ঢালি ও সুমন সিদ্দিক উল্যাহর আইনি সহায়তায় হাইকোর্টের এক আদেশে চাকরি পেয়েছেন। এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২৫০ প্রতিবন্ধী এবার নিয়োগ পেতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা ২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ পাননি। পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিদ্দিক উল্যাহ মিয়ার সহায়তায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১১৪টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীদের পাশে থাকতে বরাবরই ইচ্ছা পোষণ করেন সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। বিনা ফিতে দিতে চান আইনি সহায়তাও।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন কর্মরত প্রায় ৫ হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) তাদের চাকরির সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নির্দেশের জন্য হাইকোর্টসহ আপিল বিভাগের আইনি সহায়তা প্রদান করেন। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পিএসসি’র মাধ্যমে ৫২ জেলায় ৫২ জন প্রোগ্রামার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে বিভাগীয় কর্মরত চাকরিজীবীদের মামলার কারণে তাদের নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে এডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ্ মিয়া ৫২ জন প্রোগ্রামারদের পক্ষে আইনি সহায়তা প্রদান করেন এবং তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি বাড়ি একটি খামার নামে একটি প্রকল্পের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত মাঠ সহকারীদের স্থানান্তর করে ২০১৬ সালের ২৮শে জুন ও ২০১৬ সালের ৩রা আগস্ট পৃথক দুটি অফিস আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত মাঠ সহকারীদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প চলমান থাকবে বলে পুনরায় অফিস আদেশ জারি করে। পরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাঠ সহকারীরা। পরে ২৫৮ জন মাঠ সহকারীকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরের আদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন আদালত। এ ছাড়াও আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে কর্মরত উপজেলা সমন্বয়কারী সিনিয়র অফিসার পদে পদোন্নতির রিটে আদালতের রায়ের আলোকে ১২৯ জন উপজেলা সমন্বয়কারী পদ হতে সিনিয়র অফিসার পদে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে নওগাঁ, নোয়াখালী, ফরিদপুর, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার ২৫ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সুইপার, এম এল এস এস, মালি ও ওয়ার্ডবয় পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অকৃতকার্যদের নিয়োগ দেয়ায় তারা বিগত ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন। পরে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়ে রায় দেন আদালত।

তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি) পদে আবেদন করার অনুমতি দিতে রিটকারীদের পক্ষে রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে নিয়োগ বঞ্চিত ১৫ হাজার পুল শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ২৫০০ নিয়োগ প্রার্থীর পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরে আদালত তাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং তারা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ৩১৫ জন প্রধান শিক্ষকের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত শিক্ষকদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। জাতীয়করণ তালিকা থেকে বাদ পড়া শতাধিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালতে বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য শিক্ষকদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪৭ হাজার শিক্ষকের টাইমস্কেল কর্তন করার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করলে শিক্ষকগণ উক্ত প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে বিজ্ঞ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে এ.টি. মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে শিক্ষকদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।

বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের শেষ ঠিকানা সিদ্দিক উল্যাহ

২০১৬ সালের ১৭ই আগস্ট ৩৫তম বিসিএস’র ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার ১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) সুপারিশ করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে ২ হাজার ১১৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রদান করেন কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে প্রায় ৪০ জনকে নিয়োগ দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নিয়োগ না দেয়ায় নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে থেকে ১৭ জন বিগত ২০১৯ সালে আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করেন।

৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ৩৭তম বিসিএস এ বিভিন্ন ক্যাডারে ১৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১২৪৮ জনকে নিয়োগ প্রদান করে, কিন্তু সুপারিশকৃত ১৩১৪ জনের মধ্যে ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়, ৩৯তম বিসিএসে ৪৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ প্রদান করেন, কিন্তু ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয় এবং ৩৬তম বিসিএসে ২৩২৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২২৫৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করে, কিন্তু ৬৭ নিয়োগ বঞ্চিত হয়। বার বার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদেরকে নিয়োগ প্রদান না করায় তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৩৫তম, ৩৭তম এবং ৩৯তম বিসিএস এ সুপারিশ প্রাপ্ত ৯৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন আদালত।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, লিখিত পরীক্ষা এমনকি ভাইভায় পাস করেও অনেকের চাকরি হয় না। এটা আমাকে খুব ব্যথিত করে। একজন মানুষ এত সংগ্রামের পরেও চাকরি না পাওয়া বেদনাদায়ক। তাই আমি সকল প্রকার চাকরি বঞ্চিত ও অবিচারের শিকার চাকরিপ্রত্যাশীদের পাশে আছি, ছিলাম এবং সামনের দিনেও থাকবো। তাদের আইনি সহায়তা দিতে পারলে আমার ক্যারিয়ারের পূর্ণতা আসবে। আমি প্রতিবন্ধী চাকরি প্রার্থীদের বিনামূল্যে আইন সেবা দিতে প্রস্তুত আছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: