সর্বশেষ আপডেট : ১০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড আগে
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

হাওয়া ভবন খুলে হাওয়া খেতে পারছে না বলে বিএনপির দুঃখ

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশের উন্নতি চোখে দেখে না, যাদের চোখ অন্ধ তাদের জন্য আন্তর্জাতিকমানের আই ইন্সটিটিউট করে দিয়েছি। সেখানে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালে ভালো। হাওয়া ভবন খুলে হাওয়া খেতে পারছে না বলে বিএনপির এত দুঃখ।

শুক্রবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করব। যেই চেতনা নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সারা জীবন কষ্ট সহ্য করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করব। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশে ফিরেছিলাম। তারপর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমরা ছাত্রদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। সেজন্যই বলি অশিক্ষিতদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না। দেশের উন্নতি হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা ও নির্যাতন করেছিল। তারা হাওয়া ভবন খুলে দেশটাকে লুটপাট ও জঙ্গির দেশ বানিয়েছিল। যার ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, এসব কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। কারণ, তাদের ওপর জনগণ আস্থা রাখে না। অথচ যখনই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। কারণ, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঙালিরা। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামেন। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির জন্য।

সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এমনকি পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে। এ ছাড়া ২০০৭ সালে ইমারজেন্সির সময় ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করেছে। সেই এক-এগারোর সময়েও ছাত্রলীগ কোনো আপস করেনি।

তিনি বলেন, তারুণ্যের শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যে ছাত্রসংগঠন তৈরি তাদের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গামাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশ শুরুর আগে তাদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: