cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন বা সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের রিমান্ড ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে অ্যাটোক জেলেই থাকতে হচ্ছে।
বুধবার এই মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে রিমান্ডের এই আদেশ দেন স্পেশাল কোর্টের বিচারক আবুল হাসনান জুলকারনাইন। অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের অধীনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি করছিলেন তিনি।
অ্যাটোক কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিচারক জুলকারনাইন বলেছেন, অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজি, পিতা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি, ঠিকানা জামান পার্ক লাহোর— তাকে বিচারিক রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো, যিনি ইতিমধ্যে বিভাগীয় জেলে আটক আছেন।
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে জেলের ভেতরেই আদালত বসিয়ে শুনানি অনুমোদন করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইমরান খানের আইনজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বে থাকা নাঈম হায়দার পানজুথা অভিযোগ করেছেন, তারবার্তা ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি ইমরান খান কিংবা তাঁর আইনজীবী কাউকে জানানো হয়নি। আমরা আদালতে জামিনের আবেদন করেছি এবং আগামী শনিবার শুনানি হবে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে কোনো মামলায় আটক করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তুলতে হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ইমরান খানের কাছে থাকা একটি কূটনৈতিক নথি হারিয়ে গেছে। পিটিআইয়ের দাবি, এই নথিতে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও আসামি করা হয়েছে।
বুধবারের শুনানিতে প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমান সাফদার খানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। পিটিআই প্রধানের কৌঁসুলি পরে একটি উন্মুক্ত আদালতে মামলার শুনানির অনুরোধসহ গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তোশাখানা দুর্নীতি মামলার কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে এ মামলায় জামিনে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সাইফার মামলায় তাকে কারাগারেই আটক রাখার নির্দেশনা দেয় সরকারি গোপন নথি আইন সংক্রান্ত বিশেষ আদালত।
বর্তমানে ‘মিসিং’ বা হারিয়ে যাওয়া সেই কূটনৈতিক ডকুমেন্ট নিয়ে মামলা চলছে। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে একটি রাজনৈতিক র্যালিতে ওই কূটনৈতিক ডকুমেন্ট প্রদর্শন করেছিলেন ইমরান।
এদিকে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছেন বোন আলেমা খান, উজমা খানম ও সাবেক ফার্স্টলেডি বুশরা বিবি। অ্যাটক জেলে বন্দি আছেন তিনি, পাঁচ দিন আগে অনুমতি চাওয়ার পর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট অনুমতি দেন।
বৈঠকের সময়, ইমরানের বোন এবং স্ত্রী বুশরা বিবিসহ চার সদস্যের আইনি দলের সঙ্গে ছিলেন।
গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন। একটি কূটনৈতিক তারবার্তার বরাতে তিনি তখন দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।