cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সরকার পতনের এক দফায় আন্দোলন করছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এতে কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে। কঠোর আন্দোলনে যেতে প্রস্তুতিও নিচ্ছে। ঠিক করছে কর্মকৌশল। খুঁজে খুঁজে বের করা হচ্ছে দুর্বল পয়েন্ট। আন্দোলন সফল করতে নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হবে। চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য, নেতৃত্ব ঝালায় করে নিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখে অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক নেতার ভূমিকায় বিতর্কিত। সমন্বয়হীনতার কারণে কর্মসূচিতে ছেদ পড়ে। এ ছাড়া দলের শীর্ষপদে থেকেও কয়েকজন নেতার দায়িত্বের অবহেলা সামনে আসে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির দিনে নির্ধারিত স্পটে যাননি বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও আব্দুল মঈন খান। গাবতলি, মাতুয়াইল ও উত্তরায় তাদের প্রধান দায়িত্বে থাকার কথা ছিল।
এছাড়াও কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক স্পটে ছিলেন না। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকার দুই মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। নেতৃবৃন্দের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুদ্ব বিএনপির হাইকমান্ড। যার ফল ভোগ করছে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। সূত্র বলছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সর্তক করতেই শ্রাবণকে বেছে নেয়া হয়েছে। শ্রাবণকে সরিয়ে অন্যদের বোঝানো হলো যে- কেউ দায়িত্ব পালন না করলে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা এলাকায় থাকার কথা ছিল ছাত্রদল সভাপতি কাজি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের। জানা যায়, তিনি সেখানে যাননি। বিকেলের দিকে খিলক্ষেত এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। এ কারণেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। গত ৮ আগস্ট অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শ্রাবণকে সরিয়ে দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অসুস্থতার কথা বলা হলেও সূত্র জানায় পুরোপুরি সুস্থ শ্রাবণ। দায়িত্ব থেকে সরানোর নোটিশ দেয়ার সময়ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ে ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যান।
জানা যায়, ২৯ জুলাইয়ের ভূমিকার কারণে ভেঙে দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যুবদলের কমিটি। আনা হয়েছে নতুন নেতৃত্ব। এতে কিছুটা আতঙ্কে আছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বিশেষ করে অতীতে যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, কর্মসূচি পালন করতে দিয়ে গাফেলতি করেছেন।
বিএনপি সূত্র জানা যায়, সকল নেতার কাজের মূল্যায়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আছে। যার ভূমিকা বিতর্কিত বা দায়িত্বপালনে গাফেলতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন। তাদের সরিয়ে ত্যাগীদের সামনে আনার পরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পনার একটা বার্তা ছাত্রদলের সভাপতিকে দিয়ে বোঝানো হলো। পাশাপাশি অন্যদের সর্তক করলেন বিএনপির হাইকমান্ড।
সূত্র আরও জানায়, ২৯ জুলাইয়ে অনেক নেতার ভূমিকা বিতর্কিত। যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালন করেনি। তাদেরকে বোঝানো হলো যে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সরিয়ে দেয়া হবে।
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ২৯ জুলাইয়ে দায়িত্ব অবহেলার কথা সত্য নয়। আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নেতাকর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছিলাম। দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। বাঁধার মুখে বারবার কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছাত্রদলের অন্যন্য নেতৃবৃন্দের নিয়ে মাঠে থেকেছি। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা হয়েছে, গুলি, টিয়ারগ্যাস মেরেছে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমার ছাত্ররাজনীতির ১৯ বছরে সবসময় নেতাকর্মীদেরকে দ্বায়িত্ব অবহেলা এবং ফাঁকিবাজির কারণে বকাঝকা করেছি। সেই আমাকেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দ্বায়িত্ব অবহেলার কথা প্রচার করা হচ্ছে। আমি পরিপূর্ণ সুস্থ হলে দল বিবেচনা করবেন স্বপদে ফিরবো কিনা।
তিনি বলেন, সবসময় দল এবং সাংগঠনিক অভিভাবকের সকল সিদ্ধান্ত মেনেই রাজনীতি করেছি। আজীবন দল এবং সাংগঠনিক অভিভাবকের সিদ্ধান্তে পদপদবী ছাড়াও যে কোন পরিস্থিতিতে, আন্দোলনে ভূমিকা রাখবো।
শ্রাবণকে সরানোর পর কর্মসূচিতে উপস্থিতি বেড়েছে নেতাদের। গত শুক্রবার ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণে গণমিছিলে নেতাদের উপস্থিত বেশি লক্ষ করা যায়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণমিছিলে দলটির সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালে প্রিন্স বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের আন্দোলন চূড়ান্ত মুহূর্তে আছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করায় টার্গেট। সেই লক্ষ্যে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাংগঠনিকভাবে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয় কম-বেশি সবাই পালন করে। প্রতিনিয়ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাজের মূল্যায়ন করা হয়। সবার কাজের পরিধি, কর্ম তৎপরতা সমান হয় না। মানুষের ভুল হয়, আবার সংশোধন করে সামনে এগিয়ে যায়। সাংগঠনিকভাবে কোথায় দুর্বল মনে হলে পরিবর্তন করে বা সংশোধন করা হয়। সাংগঠনিক পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখন যাকে যেখানে দিলে কাজ হবে সেখানে তাকে দেয়া হয়। সাংগঠনিক পুনর্গঠনে কেউ কোথাও অপরিহার্য নয়।