cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার কাজীপুর এলাকার কুদরত উল্লাহ মির্জার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রবিন ২০০৭ সাল থেকে জালরূপি তৈরি করতেন। মাঝে কিছুদিন বন্ধ করে ২০২০ সালে আবার শুরু করেন জালরুপি তৈরি। এসব রুপি দিয়ে ভারতে চোরাচালান করতেন। আর জাল টাকা তৈরি করে সেই টাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানসহ বাজারজাতকরণ করতো চক্রটি।
এমন একটি চক্রের তিন সদস্যকে ১ লাখ ভারতীয় জাল রুপি, ১০ লাখ ২০ হাজার জাল টাকা এবং জাল রুপি-টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রটি এখন পর্যন্ত ৫ কোটির বেশি ভারতীয় জালরুপি তারা বাজারজাত করেছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) লালবাগ থানার আরেনডি রোডস্থ শ্মশানঘাট কালিমন্দির এলাকা থেকে একজনকে এবং পরে তার দেয়া তথ্য মতে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির লালবাগ থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. মাহি (১৯), সাজ্জাদ হোসেন রবিন (৩৮) ও সাদমান হোসেন হৃদয় (৩০)।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: জাফর হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় লালবাগ শ্মশানঘাট কালিমন্দিরের সামনে থেকে মাহিকে বাংলাদেশি ১ হাজার টাকার ৫০টি জালনোটের ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, মাহির মামা সাজ্জাদ হোসেন রবিন ও সাদমান হোসেন হৃদয়কে কেরানীগঞ্জের কানারগাওয়ের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ বাংলাদেশি এক হাজার টাকার ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার ৯৭০ টি জালনোট এবং ভারতীয় ৫০০ রুপি মূল্যমানের ১ লাখ রুপির ২০০টি জালরুপিসহ জাল টাকা ও জাল রুপি তৈরীর ল্যাপটপ, প্রিন্টার, একটি স্কিন প্রিন্ট ফ্রেম, জালনোট তৈরীর জন্য দুইশত পিচ সাদা কাগজ, বিভিন্ন রংয়ের চারটি কার্টিজ, কোটাসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, চক্রের মূলহোতা সাজ্জাদ হোসেন রবিন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। ২০০৭ সালে শহীদ নামের তার এক বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয়। সে এই ধরনের জালটাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার সঙ্গে জালটাকা তৈরি শুরু করে। শহীদ মারা যাওয়ার পরে জালটাকা তৈরি বন্ধ করে দেয়। এরপর রবিন ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করে। করোনাকালে তার ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নামে। কর্মীদের বেতন দিতে পারছিল না বলে কর্মীরা তার বাড়িতে এসে ভিড় করে। তখন কি করবে তা চিন্তা করেই জাল টাকা বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত মূলহোতা হুমায়ুন কবির সিকদার (৪২) ও শফিউল্লাহ্ সিকদার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা জালটাকা তৈরির জন্য কাজ করে দিতে বলে। ২০২০ সাল থেকে রবিন আবারও জালটাকা বিশেষ করে জালরুপি ছাপানো শুরু করে। এখন পর্যন্ত এই চক্রের মাধ্যমে ৫ কোটির বেশি ভারতীয় জালরুপি তারা বাজারজাত করেছে।
তিনি বলেন, এই রূপি মূলত তারা আমাদের যেই সীমান্ত এলাকা সেখান দিয়ে তারা চোরাচালান কাজে ব্যবহার করে। শাড়ি, মাদক বা বিভিন্ন সামগ্রীর তারা জালরুপি দিয়ে তারা পরিশোধ করে।
জালটাকা তৈরির বিষয়ে উপ-কমিশনার বলেন, পলাতক আসামি হুমায়ুন কবির রবিনকে কিছু জালটাকা তৈরির কথা বলে। এই জালটাকা দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে আসবে। সর্বশেষ এই জালটাকা তারা ছাপানো শুরু করেছিল।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে কোটি কোটি জালটাকা ও জালরুপির তৈরী করেন তারা। এসব জাল টাকা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দিতেন।