সর্বশেষ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সব জঞ্জাল দূর করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: হানিফ

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব জঞ্জাল ও আবর্জনা দূর করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বঙ্গীয় সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপনে বছরব্যাপী কমসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা সংকট মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে এসেছেন।

বঙ্গবন্ধু সবসময় জনগণের ওপর নির্ভর করতেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে তিনি কারাগারে থেকে ভূমিকা রেখেছিলেন। ৫৪’র নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করার এক বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন সরকারে থেকে খুব বেশি কাজ করা যাবে না। এরপর ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা ঘোষণা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এবং ৭০’র নির্বাচনে ম্যান্ডেট পাওয়ার পর জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া স্বাধীনতার স্বীকৃতি নাও হতে পারে। পরবর্তীতে তাঁর নেতৃত্বে ৯ মাস লড়াই-সংগ্রাম করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে তুলে দেন বিশ্বশান্তি পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র। ওই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলেছিলেন, হি ইজ ম্যান অব পিস, ম্যান অব ইনডিপেনডেন্ট। নাউ হি ইজ দ্যা বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং বিশ্ববন্ধু।

এর আগে ১৯৫৬ সালে স্টকহোমে বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেসময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা আমার জীবনের মূলনীতি। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যতটুকু প্রয়োজন আমার ভূমিকা থাকবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা বাংলার মহামানবকে ধরে রাখতে পারিনি। যেই বঙ্গবন্ধু সবসময় শোষিতের পক্ষে ছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তাঁর নিজ বাসগৃহে স্বদেশের মানুষের হাতে মারা যান। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কাজী আকরামউদ্দিন আহমেদ। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সভামুখ্য ছিলেন রবীন্দ্র একাডেমির সভাপতি কবি আজিজুর রহমান আজিজ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও ভারতের বঙ্গীয় গুজরাট সমন্বয়ক শ্রী অনিরুদ্ধ দত্ত প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: