cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের বর্তমান ও সাবেক ৪৩ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে যুবদলের এক মেয়র প্রার্থী, ৩৮ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চার জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার ( ৫ জুন) রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই এক চিঠিতে এ খবর জানা যায়।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার (৩ জুন) রাতে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে পাঁচ জন নেতা জবাব দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কেউ সরে আসেননি। তাই দল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশের তালিকায় ৪১ জনের নাম থাকলেও দুই জনের নাম বাদ পড়ায় বহিষ্কারের তালিকায় তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে মহানগর বিএনপির কাছে বহিষ্কারের আদেশ এসেছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ৪৩ নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠানো এসব চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। রাতে হোয়াটসঅ্যাপে এবং মঙ্গলবার সশরীর এসব চিঠি পৌঁছে দেয়া হবে। এর আগে ওই ৪৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। অনেকে নোটিশের জবাব দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতি জানান।
বিএনপি জানিয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অনেক দিন রহস্য রাখার পর শেষ পর্যন্ত গত ২০ মে নির্বাচন বর্জন করেন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদেও দলগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার দলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সতর্ক করে বিএনপি সিলেটের ৩২ নেতাকে চিঠি দিয়েছিল। দলের এমন অবস্থানের মুখে সেখানে কাউন্সিলর পদে ভোট করতে আগ্রহী ১৫ জন নেতা অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপরও সিলেটে দলটির ৪২ জন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার এসব নেতাকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির যে ৪২ জন নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এর মধ্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. ছালাহ উদ্দিন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। অন্যরা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব নেতার মধ্যে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতা রয়েছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন লিখেছেন, ‘আমি এবার সিলেট সিটির নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ছিলাম না। কিন্তু জনগণের চাপের মুখে আমার নির্বাচন করতে হচ্ছে। জনগণের ভাষ্য নৌকাকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেয়া যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে জনগণের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে গিয়ে আমাকে এ নির্বাচন করতে হচ্ছে। এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে আমাকে সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হওয়া প্রয়োজন।’
এদিকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি রোকসানা বেগম নোটিশের জবাবে লিখেছেন, ‘ভোটারদের চাহিদার দিক বিবেচনায় নিয়ে আমার এ প্রার্থী হওয়াকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ওয়াদা করছি, বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও দলের আদর্শের প্রতি অবিচল থাকব।’
যোগাযোগ করলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব ধরনের নির্বাচন বর্জন করেছে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এসব বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে যেন দলের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় না যান, সেটাও আমরা প্রত্যাশা করছি।’