সর্বশেষ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে দুপুর পৌনে ২টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা ঘণ্টাব্যাপী চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনা মনে হলেও মূলত: আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পাবনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল প্রান্ত এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহর অনুসারী মো. সাব্বিরের সাথে কথাকাটি হয়। ওই কথা কাটাকাটির সময় সভাপতির অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের গায়ে হাত তোলে। এ নিয়ে দুই গ্রপের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলতে থাকতে। এরই জের ধরে পরীক্ষা শেষ হলে দুপুর পৌনে ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ ছাত্রীরা ভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকেন। সংঘর্ষে লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিস্টিকসহ ধালালো অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে মোটরসাইকেলের ধাক্কাধাক্কি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত দুই শিক্ষার্থী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়। তার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে শিক্ষার্থীদের। হামলায় আহতদের বেশিরভাগই সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ গ্রুপের সমর্থক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। ভর্তি পরীক্ষার দিনে ছাত্রলীগের মারামারি করা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হবে।

তবে, সংঘর্ষে নিজেদের ও ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপালেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ। তারা বলেন, মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। সেখান থেকে হলে গিয়ে কিছু মারামারি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ এর সাথে জড়িত নয়। এখানে ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপিং নেই। তবে, সংঘর্ষের ঘটনায় যদি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।

ছাত্রলীগের সাথে একই সুরে সুর মিলিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের মধ্যে ঝামেলা হয়নি। তারপরও যেহেতু ছাত্রলীগের কথা আসছে, সেজন্য আমরা সবার সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা চলছে, দূর-দুরান্ত থেকে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা এসেছেন, তাই সবাইকে শান্ত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: