cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
রাজধানীর বাড্ডা প্রগতী স্বরণী এবং ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় বাসচালক ও ইয়াবার ডিলারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাহমুদুল করিম (৪৩), রুমা আক্তার (৪২), নকিবুল ইসলাম (২১), মো. মোস্তফা কামাল ওরফে কামাল। তাদের মধ্যে মাহমুদুল বাস চালক, রুমা মাদক ব্যবসায়ী, নকিবুল ইয়াবার ডিলার ও মোস্তফা কামাল খুচরা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে ডিএনসি।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএনসি’র রমনা এবং মোহাম্মদপুর সার্কেল।
ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, গেয়োন্দা তথ্য ছিল যে, একটি মাদক চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করছে। ওই তথ্যে শুক্রবার সকালে প্রথমে বাড্ডা থানাধীন প্রগতি স্বরণীর রাফিদা সাইকেল মার্টের সামনে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় চট্ট মেট্রো-ব-১১-১৯১৮ নম্বরের মারসা ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের ভেতর থেকে চালক মাহমুদুল ও চক্রের একজন নারীকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার ৮২৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাগুলো কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এনে দুই বা তিনটি স্থানে সরবরাহ করার কথা ছিলো গ্রেপ্তারকৃতদের।
মাদক পরিবহনের কৌশল হিসেবে ইয়াবাগুলো নিজেদের শরীর ও বাসের ড্যাসবোর্ডে নারীর জুতার ভিতরে বিশেষভাবে তৈরি চেম্বারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
মেহেদী হাসান আরও জানান, কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় ডেলিভারি করার তথ্য পেয়ে শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ নকিবুল ও মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে ডিএনসির মোহাম্মদপুর সার্কেল। এই ঘটনায় আরও একজন মাদক কারবারি পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিএনসি কর্মকর্তা মেহেদী জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছিলেন। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে অধিকতর অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল জানান, সম্প্রতি প্রায়শই বিভিন্ন পরিবহনের বাস চালকরা মাদকদ্রব্য ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা কক্সবাজারগামী বিভিন্ন পরিবহনের বেশ কয়েকজন বাসচালককে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে বাসও জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। পরিবহন মালিকদের নিশ্চিত হতে হবে যে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ড্রাইভারগণ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নন। পাশাপাশি পরিবহনগুলোতে ড্রাইভার, সুপারভাইজাররা কোনো মাদক পরিবহন করছে কিনা এ বিষয়ে বাস মালিকদের নজরদারি ও সচেতনতা বাড়ানো দরকার।