সর্বশেষ আপডেট : ১৬ ঘন্টা আগে
বুধবার, ৮ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

টানা ৩৪ মাস ৭শ ৭৭ শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধ : অবস্থান কর্মসূচি পালন

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

টানা ৩৪ মাস ধরে বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৭৭৭ জন শিক্ষক অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটসমূহের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ২০১০ সালের জুলাই মাসে সরকার স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট (স্টেপ) শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। দুই ধাপে প্রকল্পটি ৩০ জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ তারিখের পত্রের মাধ্যমে প্রকল্পের জনবল দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরিপত্র জারি হয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল ধাপ সম্পন্ন করে ২৩ ডিসেম্বর ২০১২ নিয়োগপত্র পান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন শিক্ষক। যাদের সরকারি চাকরির বয়স ইতিমধ্যে শেষ এবং পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তারা বলেন, প্রকল্প শেষে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২২ মে ২০১৯ সদয় অনুমতি প্রদান করেন এবং সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে বেতন ভাতাদিও প্রদান করা হয়। যা ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলমান ছিল কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের অনেকে বেতন না হওয়ায় বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছেনা, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারছেনা। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হয়, ততদিন আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সরকার কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগীকরণ এবং জনপ্রিয়করণের মাধ্যমে ২০২০ সালে ২০ শতাংশ, ২০৩৯ সালে ৩০ শতাংশ এবং ৪১ সালে ৫০ শতাংশ উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়। যা বাস্তবায়নে বেতন ভাতা বঞ্চিত ৭৭৭ জন শিক্ষক পাঠ কার্যক্রম নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন এবং সরকারের লক্ষমাত্রাকে সফল করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

আন্দোলনকারী এসব শিক্ষক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করে বেতনভাতাদি প্রদান না করা পযর্ন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘদিনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের অবসানের জন্য বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের দাবি করেন।

জানা যায়, ২০১১ সালে তৎকালীন শিক্ষাসচিব কর্তৃক জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সরকারি ৪৯ পলিটেকনিকে রাজস্ব শূন্য পদে, দুই ধাপে মোট সরকারি সকল বিধি অনুসরণপূর্বক ১০১৫ জন শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করেন এবং শিক্ষকদের বেতন তৎকালীন কারিগরি অধিদপ্তরে পরিচালিত স্টেপ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বেতনভাতার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (কারিগরি শাখা বাংলাদেশ) সংগঠনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: