সর্বশেষ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

মৌলভীবাজারে পানির জন্য হাহাকার করছেন কৃষকরা

বোরো ধান চাষের মৌসুম চলছে । এই সময়ে সেচ সংকটে জমিতে পানি দিতে না পারায় জমি শুকিয়ে চৌচির। পানির জন্য হাহাকার করছেন মৌলভীবাজারের হাওরপারের কৃষকেরা। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরসহ মৌলভীবাজার জেলার হাওর সমূহে সেচ ব্যস্থাপনার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সম্মুখে জেলার হাওর সমূহে সেচ ব্যস্থাপনার মাধ্যমে বোরো উৎপাদন নিশ্চিতের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওর অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক ও বর্গা চাষীদের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল হাওরে উৎপাদিত এক ফসলি বোরো ধান। ওই ফসলের আয় দিয়েই কৃষকদের পুরো বছরের সাংসারিক খরচ এবং ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সহ সকল ব্যয় চলে। কৃষকরা ধার দেনাও মিটান ধান বিক্রি’র টাকা থেকে। কিন্তু মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে হাওরে বোরো জমিতে সেচ দেয়ার মতো সুবিধা না থাকায় কৃষকরা ফিতা পাইপ দিয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ফুট দূর থেকে জমিতে পানি দিচ্ছেন। প্রতি ঘন্টায় কৃষকদের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও পানি পাচ্ছেন না। পানির অভাবে বোরো জমি ফেঁটে চৌচির। জমিতে সেচ দেয়ার মতো নদী, নালা কিংবা বিলেও পানি নেই। ইজারাদাররা বিল শুকিয়ে মাছ নিধন করে। যার কারণে বিলেও পানি পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থা না থাকায় এক দিকে কৃষকদের ব্যয় বাড়ছে এবং অন্য দিকে ফসল উৎপাদন কমে আসছে।

বক্তারা আরও বলেন, হাওরে বোরো উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের কষ্ট লাগব করতে হলে ফানাই নদীর চালিয়া এলাকায় একটি স্লুইচ গেট স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। ফানাই নদী ৩ নদীর মিলনস্থল। অর্থাৎ ফানাই নদীতে পশ্চিম দিকের ভাটেরা ইউনিয়ন থেকে আন ফানাই এবং পূর্বদিক হতে বান্না নদী এসে মিলিত হয়েছে। যার কারণে ফানাই নদীর ৩ নদীর মিলনস্থলের একটু নিচে (চালিয়া এলাকায়) স্লুইচ গেট স্থাপন করলে ৩টি নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকবে এবং কৃষরাও চাহিদা মতো বোরো জমিতে সেচ দিতে পারবে।

বক্তারা জেলার কাউয়াদিঘী ও হাইল হাওর সহ সকল হাওরে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান।

হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি এ্যাড মঈনুর রহমান মগনু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক আসম সালেহ সোহেল, হাকালুকি হাওরের কৃষক মো. এলাইচ মিয়া, সোনা মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানে সদর এবং রাজনগর উপজেলার হাকালুকি হাওর পারের কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: