সর্বশেষ আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

চালের সংকট নেই, উদ্বৃত্ত থাকবে ৪২ লাখ টন

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

দেশে এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এতে এখন ধান বা চালের কোনো সংকট নেই। আগামী জুন পর্যন্ত চালের সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। এবার ৪২ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করা যায়। গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণা তথ্যে বলা হয়েছে, চালকলের মালিক ও খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফা করার কারণে চালের বাজার চড়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর আমনের উৎপাদন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১ কোটি ৬৩ লাখ টন হবে। বোরো ২ কোটি ৪ লাখ টন ও আউশ ৩০ লাখ টন ধরে মোট উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টন। দৈনিক জনপ্রতি ৪০৫ গ্রাম করে চালের ভোগ হিসাব করলে ১৭ কোটি মানুষের জন্য বছরে চালের প্রয়োজন হবে ২ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার টন। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামাল ও প্রাণিখাদ্য (নন-হিউম্যান) হিসেবে ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টন ব্যবহৃত হবে। সুতরাং এরপর উদ্বৃত্ত থাকবে ৪২ লাখ টন।

ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর জানান, বাজারে কেন চালের দাম কমছে না, তা জানতে ব্রি মাঠপর্যায়ে গবেষণা করেছে। মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে গবেষণায় উঠে এসেছে চালকলের মালিক ও খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মুনাফা করার বিষয়টি। চালকলের মালিকরা কেজিতে ৮-১৪ টাকা লাভ করছেন। কৃষকের উৎপাদন খরচও কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি ধানের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া কিছু মিলার ও ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, করপোরেট গ্রুপগুলো চালের বাজারে ঢুকে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অকালবন্যা ও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে এ বছর বোরো ও আউশ উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। এ অবস্থায় আমনের উৎপাদন বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই চলতি মৌসুমে কৃষি মন্ত্রণালয় আমন চাষে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৬১ লাখ টন নির্ধারণ করে।

একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কৃষিজমি কমছে। ভুট্টা, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলেও জমির ব্যবহার বাড়ছে। বাড়িতে যেসব সবজি হতো যেমন চালকুমড়া, তাও এখন মাঠে হচ্ছে। এসব কারণে ধানচাষের জমি কমছে। এই জটিল পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন বাড়াতে হলে গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে উদ্ভাবিত জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে।

বাম্পার উৎপাদনের পরও চালের দাম কেন কমছে না, তার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ব্রির গবেষণায় অনেকগুলো কারণ পাওয়া গেছে। ব্রির পাশাপাশি অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানেরও এ বিষয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: