সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সবার আগে স্বাস্থ্যখাতে অসঙ্গতি দুর করতে হবে : হোসেন জিল্লুর রহমান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, সবার আগে স্বাস্থ্যখাতে নানা অসঙ্গতি দুর করতে হবে। ডাক্তার, সামাজিক কর্মী, এনজিও, রাজনীতিকসহ সবার অংশগ্রহনে মাতৃমৃত্যু হার কমাতে সহায়তা করে। সেজন্য সবার মধ্যে সচেতনা তৈরী করতে হবে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কোথায় ফাঁক ফোকর আছে তা খোঁজে বের করতে হবে। ডেলিভারি করতে হলেও বড় ধরণের চিন্তা ভাবনা দরকার। তিনি মঙ্গলবার (১৩-১২-২২) মঙ্গলবার সিলেটে সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে মাতৃমৃত্যু হার শূণ্যের কোটায় নিয়ে আসতে সচেতনতা বিষয়ে পিপিআরসি (পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার) ও ইউএনএফপিএর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক সমকাল।

গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে সিটি সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও বক্তব্য দেন পিপিআরসির সিনিয়র ফেলো মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, ইউএনএফপিএ’র ডা. দেওয়ান মো. এমদাদ ও সমকালের সহকারী সম্পাদক হাসান জাকির এবং কী নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সানজিদা আখতার। কী নোটে তিনি সিলেটসহ সারা দেশের মাতৃমৃত্যু হার, বর্তমান অবস্থা ও কারণ এবং উত্তোরণের উপায়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।

বৈঠকে বক্তরা বলেছেন, মাতৃমৃত্যু রোধে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। পাশাপাশি জরুরি গণসচেতনতা। সচেতনতা শুধু জণগনকে করলে হবে না, যারা নীতি নির্ধারক তাদেরকেও সচেতন করতে হবে। বক্তারা বলেন, আমরা অনেকে দায়সারা কাজ করেই শেষ করি। কিন্তু এর ফলাফল স্থায়ী হয় না। মাতৃমৃত্যু হয়তো শূণ্যের কোটায় আনা যাবে না। তাই বলে থেমে থাকলে চলবে না। আমাদের দেশে প্রতিবছর ৩৩ লাখ মা গর্ভবর্তী হন। এত সংখ্যক মা’কে সেবা দেওয়ার পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। যে পরিবেশ আছে তাতে আর যত্মবান হতে হবে।

সমাজের বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির প্রতিনিধিদের মধ্যে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন, স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের সাবেক পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিক্ষক ড. মইনুল ইসলাম, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. শাসুন্নাহার হেনা, সিলেটের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল সমিতির সভাপতি ডা. নাসিম হোসাইন, সুজন-সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. মৃগেন কুমার দাশ চৌধুরী, সহকারি অধ্যাপক ডা. নাহিদ পারভীন, ডা. মশিউর রহমান চৌধুরী, ডা. ফাহমি আক্তার, পূণ্যভূমি সম্পাদক আবু তালেব মুরাদ, মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার, ডা. নুরে আলম সিদ্দিকী, ডা. হিজবুল্লাহ, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূইয়া, ব্রাকের অনিক আহমদ অপু, মেরিস্টোপের মোহন লাল দাশ প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, মাহবুবা হক, সিসিকের গণসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলীম শাহ, সমকালের ব্যুরো ইনচার্জ মুকিত রহমানী, স্টাফ রিপোর্টার ফয়সল আহমদ বাবলু, স্টাফ ফটো সাংবাদিক ইউসুফ আলী, সিলেটপ্রতিদিনের সম্পাদক সাজলু লস্কর, ব্যবসায়ী জুরেজ আব্দুল্লাহ গোলজার, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আনা প্রমুখ।

সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা কাগজপত্রে অনেক হিসাব-নিকাশ দেখাই। কিন্তু বাস্তবের সাথে তার মিল নেই। মাঠ পর্যায়ের কাজের তদারকি হয় না। অনেক হাসপাতাল আছে যারা সিজার করতে ব্যস্ত। অনেকে ক্লিনিক ও হাসপাতালে যেতে ভয় পায়। মেয়র সিলেট নগরীতে মাতৃমৃত্যু হার কমাতে পাইলট প্রকল্প গ্রহনের দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: