cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার :
আড়াই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সিলেটে বিএনপি নেতা আ.ফ.ম কামাল হত্যার প্রধান আসামি আজিজুর রহমান সম্রাট গ্রেফতার হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
এদিকে মামলার ১৮ দিন পরও প্রধান আসামি গ্রেফতার না হওয়ার পেছনে সরকারদলীয় নেতাদের যোগসাজশ দেখছেন নিহতের ভাই ও মামলার বাদী ময়নুল হক। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশের কারণে সম্রাটকে গ্রেফতারসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতাও নেই। এটা হতাশাজনক।
তবে নিহতের ভাইয়ের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্তসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে, তবে বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি।
৬ নভেম্বর রাতে নগরের বড়বাজারে মোটরসাইকেলে আসা ৫ জন কামালের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে আহত অবস্থায় এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক কামালকে মৃত বলে জানান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ময়নুল হক ৮ নভেম্বর রাতে বিমানবন্দর থানায় আজিজুর রহমান সম্রাটকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এছাড়া আরো ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয় মামলায়। আসামিদের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন আজিজুর রহমান সম্রাট, মো. হাফিজ, শাকিল আহমদ, মিশু আহমদ, কুটি মিয়া, মনা মিয়া, আব্দুল আহাদ, মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, আশরাফ সিদ্দকী ও রুহুল আমিন শাওন। মামলার পর মিশু আহমদ, কুটি মিয়া ও মনা মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৯ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, রিমান্ডে ৩ আসামি বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেসব বলা যাচ্ছে না।
নেই কর্মসূচি : আ.ফ.ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির গত কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কামাল হত্যার রাতেই ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল থেকে মহানগরের রিকাবীবাজার ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন সিলেট বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কামাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শেষে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে, তবে ১৯ নভেম্বর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নীরব বিএনপি।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা জানান, দলীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে কামাল খুন হননি; ব্যবসায়িক কারণে তিনি খুন হয়েছেন। তাই সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে আন্দোলন বা কর্মসূচি ঘোষণা করছেন না। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এ ইস্যুতে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব।