cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
চারিদিকে ব’ন্যা। সেই সঙ্গে নেই বিদ্যুৎ। মা-বাবার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে জরুরি কাজ ঢাকায় ফেলে রাবারের নৌকা কিনে সিলেটে আসেন রনি তালুকদার (৩০) নামে এক যুবক।
তিনি ছাতক পৌরসভা’র মণ্ডলীভোগ গ্রামের বাসিন্দা। লাইফ জ্যাকেটসহ জীবন রক্ষাকারী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে গুগল ম্যাপ দেখে ছাতক শহরের উদ্দেশ্যে তিনি সদর উপজে’লার জালালাবাদ থা’না এলাকা থেকে।
রাবারের নৌকা নিয়ে ব’ন্যার পানিতে নেমে গন্তব্যে ছুটে চলেন রনি। একসময় পানির স্রোতে রাবারের নৌকাটি এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করলে তখন তিনি ভীত হয়ে পড়েন তিনি। দু হাতে বইঠা নিয়ে জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে নৌকা চালিয়ে বিপদের দিকে এগিয়ে যান তিনি। মা’রাত্মক ঝুঁ’কিতে থাকা রনি তালুকদারের আকুতির কথা শুনে মধ্যপথে ইঞ্জিন নৌকা থামিয়ে তাকে উ’দ্ধার করলেন জালালাবাদে ত্রাণ বিতরণে যাওয়া একদল লোক। শনিবার (১৮ জুন) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রনি তালুকদার প্রবাসে যাওয়ার জন্য জরুরি কাজে ঢাকায় যান গত সপ্তাহে। ব’ন্যার পানি বাড়ার পর প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে খোঁজ রাখছিলেন পরিবারের। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষবার তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
বিপদ থেকে বেঁচে যাওয়ার পর রবিবার রনি তালুকদার বলেন, ‘আমা’র পরিবারের কোনও খোঁজ পাইনি এখনও। তবে যতটুকু ধারণা করছি, তারা নিরাপদে আছে। এখন তাদের খোঁজে ট্রাকে করে ছাতকে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শেষ যখন কথা হয় তখন মা জানান, বাড়ির দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছে। পানি আরও বাড়ছে। কোনও উপায় না পেয়ে ঢাকা থেকে সাত হাজার টাকা দিয়ে নৌকা কিনে সিলেটে চলে আসি এবং ইঞ্জিন নৌকার খোঁজ করি। কিন্তু কেউ যেতে চায়নি। আবার কেউ যেতে চাইলে ৪০-৬০ হাজার টাকা ভাড়া চায়। তাই জীবনের ঝুঁ’কি থাকার পরেও পরিবারের জন্য পানিতে নেমে পড়ি।’
তিনি আরও জানান, গুগল ম্যাপ দেখে জানতে পারেন সদর উপজে’লা থেকে পানিপথে ছাতকের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এরপর যাত্রা শুরু করেন।
রনি তালুকদারকে উ’দ্ধারকারীদের একজন সিলেটের ম’দন মোহন কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রথমে আম’রা ভেবেছিলাম, যুবকটি এমনিতেই ব’ন্যার পানিতে নেমেছেন। পরে তার আকুতির পর তাকে উ’দ্ধার করি। সারাদিন তাকে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে শনিবার রাতে তাকে সিলেটে নামিয়ে দিই।’
তিনি জানান, রনি তালুকদার আমাদের নৌকায় উঠে কিছুক্ষণ পর অঝোরে কাঁদতে থাকেন। পরিবারের প্রতি ভালোবাসার কারণে আবেগের বশে তিনি রওয়ানা দিয়েছিলেন। আমাদের নৌকায় ওঠার পর তার বোধোদয় হয়েছে, এটা ছিল অবশ্যম্ভাবী মৃ’ত্যুযাত্রা।