cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
তোফায়েল আহমদ, বিয়ানীবাজার :
বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন আজ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন পৌরবাসী। এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে পুরো পৌরসভার ভোটকেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে বসেছে সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তার চাদরে রয়েছে পৌর এলাকা। নির্বাচনে ১০জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ সময়ে এসে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারজন প্রার্থী।
পৌরসভার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী আব্দুশ শুকুর, চামচ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুল হক, জগ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন ও মোবাইল প্রতিকের আব্দুস সবুর। দলীয় প্রতিক, আঞ্চলিকতা, ব্যক্তি ইমেজের কারণে এই চার প্রার্থী রয়েছেন আলোচনায়। তবে ৭, ৮ ও ৯নং কেন্দ্রের ভোটাররা দুইজন প্রার্থী থেকে একজনকে বেছে নিলে আহবাব হোসেন সাজু অথবা প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদও দেখাতে পারেন চমক।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পৌরসভার সব কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের একটি ভোটব্যাংক রয়েছে। পাশাপাশি পৌর এলাকার ২, ৩ ও ৪নং কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আঞ্চলিক ভোট পাবেন নৌকার প্রার্থী আব্দুশ শুকুর। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চামচ প্রতিকের ফারুকুল হক ২, ৩ ও ৪নং কেন্দ্রে আঞ্চলিক ভোটের পাশাপাশি পুরো পৌরসভাজুড়ে ব্যক্তি ইমেজে ভোট পাবেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন জগ প্রতিকে আঞ্চলিকতার প্রভাবে ৫ ও ৬নং কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পাবেন, পাশাপাশি পুরো পৌরসভায় ব্যক্তি ইমেজে ভোট পাবেন তিনি। এছাড়াও মোবাইল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডে আঞ্চলিকতার ভোট এবং পৌরসভার বিএনপি-জামায়াতের একটি বড় অংশের ভোট পাবেন তিনি। এসব কারণেই এই ৪ প্রার্থীর মধ্যে মূল ভোটযুদ্ধ হওয়ার আভাস দিচ্ছেন স্থানীয় ভোটাররা।
বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
ফ্যাক্টর বিএনপি-জামায়াতের ভোট : নির্বাচনের ভোটের মাঠে ফ্যাক্টর বিএনপি-জামায়াতের ভোট। সরাসরি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি বা জামায়াতের কোনো প্রার্থী। তাই তাদের ভোট যিনি পাবেন তিনি হতে পারেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র এমন মন্তব্য ভোটারদের। পৌর এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা আঞ্চলিকতার খাতিরে নৌকার প্রার্থী আব্দুশ শুকুরের পক্ষে কাজ করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। তবে মধ্যম সারির উপজেলা ও পৌর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতিকের আব্দুস সবুরের পক্ষে অনেকটা প্রকাশ্যে কাজ করছেন বলে অনেক সুত্র নিশ্চিত করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতা, গোষ্ঠীর খাতিরে অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মৌন সমর্থন করছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় কোনো নির্দেশনা নেই, একক কোনো প্রার্থী বিএনপি ঘরানার ভোট পাবেন না, তবে বেশীরভাগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, তারা নির্বাচনে নেই, নেতাকর্মীদেরও নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে দলীয় নির্দেশনা রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই অনেক প্রার্থীর সাথে আছেন বলে শুনেছি, দলীয় হাই কমান্ড এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।
এদিকে, জামায়াত ইসলামীর ভোট নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বিধাবিভক্ত নেতাকর্মীরা। দুই স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোবাইল প্রতিকের আব্দুস সবুর ও হেংগার প্রতিকের প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ পাবেন জামায়াত ঘরানার ভোট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক নেতা জানান, শেষ মুহুর্তে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকে বেছে নিতে পারেন জামায়াত ঘরানার ভোটাররা।
এ ব্যাপারে জামায়াতের শুরা সদস্য ফরিদ আল মামুন জানান, জামায়াত সব ধরনের নির্বাচন বয়কট করেছে, তাই এ ব্যাপারে দলীয় কোনো নির্দেশনা বা বক্তব্য নেই।
উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেন আব্দুশ শুকুর, জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙ্গল প্রতিকের সুনাম উদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত কাস্তে প্রতিকের এডভোকেট আবুল কাশেম, চামচ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএস ফারুকুল হক, জগ প্রতিক নিয়ে সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন, মোবাইল প্রতিক নিয়ে আব্দুস সবুর, কম্পিউটার প্রতিক নিয়ে আহবাব হোসেন সাজু, হেঙ্গার প্রতিক নিয়ে প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ, হেলমেট প্রতিক নিয়ে আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে অজি উদ্দিন। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।