cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার :
অসময়ের বন্যার এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। এখনো পানির নিচে অসংখ্য গ্রাম। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। বৃষ্টি বাড়তে পারে আরও। পাশাপাশি মেঘালয় এবং আসামেও এ মাসে ভারী বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এতে সিলেটে আবারও ‘স্বল্পমেয়াদী’ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে চলতি মাসে স্বল্পমেয়াদী বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জানান, ভারি বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে এ মাসে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, সাধারণত ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হলে এর প্রভাবে বাংলাদেশে বন্যা দেখা দেয়। এ মাসের প্রথম দিকে ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ফলে দেশের কয়েকটি স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চল ছাড়া সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ৬৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদফতর আরো জানিয়েছে, দেশে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে মৌসুমি বায়ু। জুন মাসে দেশে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে । দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরো অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা আছে। মৌসুমি বায়ু আগামী ১০ জুনের মধ্যে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় প্রবেশ করতে পারে।
চলতি বছর এপ্রিলের শেষ ভাগে এক দফা এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় দফায় আকস্মিক বন্যার মুখে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। তবে মে মাসেই সা¤প্রতিককালের সবচেয়ে ভয়াবহতম বন্যা হয়ে যায় সিলেটে। ১১ মে থেকে সিলেট নগরসহ জেলার ১৩ উপজেলাসহ সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে শত শত গ্রাম তলিয়ে যায় পানিতে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানির সাথে যুদ্ধ করেন এবং এখনো করে চলেছেন। এই বন্যার ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। বন্যায় বিপর্যস্ত হয় মানুষের জীবন। ভেসে যায় খামারের মাছ, ভেঙে যায় সড়ক, বাঁধ, ঘরবাড়ি। ক্ষতি হয় হাজার কোটি টাকারও বেশী। এখনও দুই জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস। আর তা যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা!