সর্বশেষ আপডেট : ৩৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড আগে
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সুরমায় পানি কমেছে, বাড়ছে কুশিয়ারার

প্রায় ১৫ দিন ধরে টানা বৃদ্ধির পর অবশেষে ভাটার টান পড়েছে সুরমার পানিতে। শুক্রবার থেকে সিলেটের এই প্রধান নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে এখনও প্রতিটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, সিলেটের অপর প্রধান নদী কুশিয়ারার পানি অমলসীদ পয়েন্টে কমলেও বেড়েছ ফেঞ্চুগঞ্জে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, উজানে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকবে। এতে প্লাবিত এলাকা থেকেও পানি নেমে যেতে শুরু করবে।

শুক্রবার সকালে থেকে সিলেটে বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে রোদ হেসেছে। নগরের জলমগ্ন কয়েকটি এলাকার পানিও কিছুটা কমেছে। তবে প্লাবিত উপজেলাগুলোতে পানি একই অবস্থায়ই রয়েছে। বরং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় পানি কিছুটা বেড়েছে।

শুক্রবার বেলা ৩টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসেবে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৯৬ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবোর হিসেবে, শুক্রবার কানাইঘাট পয়েন্টে ভোর ৬টায় ১৩.৭৫ মিটার, সকাল ৯ টায় ১৩.৭০ মিটার এবং বেলা ৩টায় ১৩.৬৯ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টের বিপৎসীমা ১২.৭৫ মিটার।

অপরদিকে, সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১১.২০ মিটার, সকাল ৯টায় ১১.১৮ মিটার ও বেলা ৩ টায় ১১.১২ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০.৮০ মিটার।

পাউবোর হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাটে ১২ সেন্টিমটার ও সিলেটে প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

অপরদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এই সময়ে ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

কিছুটা কমেছে লোভা, সারি, ধলাই, নদীর পানিও।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ সহকারি প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, আজ সুরমার পানি কিছুটা কমেছে। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জের অমলসীদে একটি বাঁধ ভেঙে নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, কুশিয়ারার পানিও কমছে। তবে এই পানি এখন ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ হয়ে নামবে। ফলে ওই এলাকায় পানি বাড়ছে। এই দুই উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিতও হতে পারে।

দুপুরের পর থেকে পানি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা তাসনিম আহমদ। তিনি বলেন, পানি হালকা কমেছে। তবে এখনও বাসাবাড়ির ভেতর থেকে নামেনি।

গত ১১ মে থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়। এর কয়েকদিন আগে থেকে নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০ উপজেলারই বেশিরভাগ এলাকা। কেবল বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলা এখন পর্যন্ত বন্যায় তেমন ক্ষতিগস্থ হয়নি। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছেন জেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: