cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নীলফামা’রীর কি’শোরগঞ্জের বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমুরিয়া মাইজালিপাড়ার ২৫ ভূমিহীন পরিবার ২৪ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছে। ডালিয়া তিস্তা সেতু সংলগ্ন দিনাজপুর সেচ ক্যানেলের জায়গায় তাদের বসতি।
বড়ভিটা জুড়াবান্দা ক্যানেল পাড়ের তহিজ উদ্দিন (৭০) ও নুরবানু বেগম (৬৫) দম্পতি জানান, অন্যের জমিতে থাকতে না দেওয়ায় ভিটাছাড়া হয়ে বাঁ’চার তাগিদে দুই যুগ ধরে সেচ ক্যানেলের জায়গায় পলিথিনে মোড়ানো ঘরে প্রতিব’ন্ধী ছে’লেকে নিয়ে কোনও রকমে বসবাস করছেন।
বাজেডুমুরিয়া ক্যানেলের বাজারের অসহায় ভূমিহীন কারিমা বেগম (৬০) জানান, পলিথিন দিয়ে তৈরি ঘরটি ছিঁড়ে গেছে। জরাজীর্ণ ঘরের চারদিক। শীতকালে ভাঙা ঘরের চালা ও বেড়া দিয়ে কুয়াশা ঢুকে ভিজে যায় শরীর ও বিছানা। বর্ষাকালে আকাশে মেঘ দেখলে দৌড় দিতে হয় অন্যের বাড়ির বারান্দায়। নেই জায়গাজমি। পাননি সরকারি সহায়তা। পলিথিনের বেড়া, খড়ের ছাউনির ঘরে কাটছে বছরের পর বছর।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেচ ক্যানেলের জায়গায় ভূমিহীন ২৫ পরিবারের বসবাস। উচ্ছেদের ভ’য় আর দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে তারা। সারাদিন অন্যের জমিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ভাঙা ঘরে ঘুমাতে পারে না। তাদের দেখার কেউ নেই। বর্ষার পানিতে পরিবারগুলোর পোকা-মাকড়ের ভ’য়, শীত মৌসুমে ঘরে ঢুকে হিমেল বাতাস আর কুয়াশা। ঝড়বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যু’দ্ধ করে জীবন কাটছে।
মুজিববর্ষে সরকারি ঘর পাওয়ার বুকভরা আশা নিয়ে অ’পেক্ষায় আছে তারা। কিন্তু ওই ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বরাদ্দ না থাকায় হতাশ ২৫ পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জায়গা থেকে ঘর সরানোর জন্য তাদের বারবার নোটিশ দিচ্ছে। কিন্তু তাদের যাওয়ার জায়গা নেই।
ভূমিহীন কারিমা বেগম বলেন, এই মুহূর্তে ঘর ছেড়ে আম’রা যাবো কোথায়? মুজিববর্ষে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছেন। আম’রা ভূমিহীন হয়েও ঘর পাইনি। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিন।
উপজে’লার বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, ওসব পরিবারের জায়গাজমি না থাকায় সেচ ক্যানেলের জায়গায় বসবাস করছে। উপজে’লার অন্য ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেলেও বড়ভিটা ইউনিয়নে বরাদ্দ ছিল না। তবে এবার নতুন করে প্রকল্প পাওয়া গেছে। তা বাস্তবায়ন হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে ঘর পাবে ওসব পরিবার।
উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা নবীরুল ইস’লাম বলেন, মুজিবর্ষে উপজে’লায় ৩১০ ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও বরাদ্দ আসবে। পর্যায়ক্রমে খাস জমি উ’দ্ধার করে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। তবে ওই পরিবারগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর পাবে।