cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শুরু হয়েছে গণনা। এদিকে সংসদীয় এ আসনটির নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করছেন সিলেটের জে’লা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মক’র্তা কাজী এম’দাদুল ইস’লাম। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ সুরমা উপজে’লার মোগলাবাজারের রেবতী রমণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনের এসে এ কথা জানান তিনি।
এদিন সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রই ছিল ভোটার শূন্য। সংশ্লিষ্টরা কেন্দ্রগুলোতে দুপুরের পর ভোটারের উপস্থিতি আশা করলেও শেষ পর্যন্ত তা পূরণ হয়নি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষের সময়ও ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে জে’লা প্রশাসক বলেন, আম’রা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি। কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তারপরও কেনো মানুষ ভোটে আসেনি তা বলতে পারবো না।
এদিকে প্রথম বারের মতো এই আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। কেউ কেউ ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি হলেও এই পদ্ধতিতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারছেন না বলে অ’ভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী।
বিএনপির বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, মানুষ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে অভ্যস্ত নয় এবং তিনি নিজেও জানতেন না ইভিএমের মাধ্যমে কিভাবে ভোট দিতে হয়। এছাড়া নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অনেক পোলিং কর্মক’র্তাদেরও ইভিএম স’ম্পর্কে তেমন ধারণা নেই।
এদিকে নারী ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে এসে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন মন্তব্য করে শফি আহমেদ চৌধুরী বলেন, নারী ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট খুঁজছেন। ইভিএম পদ্ধতি স’ম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। তাই অনেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটও দিতে পারছেন না।
এদিকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) জটিলতার কারণে নিজের ভোট দিতে পারেননি সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। পরে নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে ভোট দিতে পারেন জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী।
সিলেটের জে’লা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মক’র্তা কাজী এম’দাদুল ইস’লাম বলেন, ওই প্রার্থী এর আগে হবিগঞ্জের ভোটার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হবিগঞ্জ থেকে এখানে ভোট স্থা’নান্তর করেন। কিন্তু তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তার ভোটটি এখানকার তালিকায় আপডেট হয়নি। তবে সকালের ঘটনার পরই আমি নির্বাচন কমিশনে কথা বলেছি। দ্রুত তার ভোটার নাম্বার এখানে আপডেট করা হয়েছে। বিকেলে তিনি তার ভোট দেন।
এদিকে জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। সকালে দক্ষিণ সুরমা’র কা’মাল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
এসময় হাবিবুর রহমান বলেন, ভোটারদের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তাতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, জনগণের ভোটে যে রায়ই আসুক তার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।
সিলেটের সার্বিক ভোটের ব্যাপারে সিলেটের পু’লিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে খুবই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি।
এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির কর্মীদের হয়’রানির অ’ভিযোগ এনেছেন দলের প্রার্থী আতিক। এ প্রসঙ্গে পু’লিশ সুপার বলেন, তিনি কিসের ভিত্তিতে অ’ভিযোগ করেছেন জানি না। আম’রা এমন কোনো অ’ভিযোগ পাইনি।
প্রসঙ্গত, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজে’লা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোট’কেন্দ্র ১৪৯টি। গত ১১ মা’র্চ করো’নায় এ আসনটির সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মা’রা গেলে আসনটি শূন্য হয়। তপশীল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করো’না পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুই দিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে আ’দালত। পরবর্তী সময়ে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে কমিশন।