cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
আহমাদ সেলিম : উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফি দরবেশ হযরত শাহজালাল (র.)’র স্মৃতি বিজড়িত শেখঘাট এলাকায় পুরনো মসজিদ ভেঙ্গে সাততলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক নতুন মসজিদ-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে এ মসজিদের ভেতর লিফট, লাশ সংরক্ষণ ব্যবস্থাসহ অনেক সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতার উপর ভর করে কাজ শুরু হলেও নির্মাণ ব্যয়ে বৃহত্তর সিলেটবাসীর সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তবে, মসজিদ নির্মাণে আন্তরিক পৃষ্টপোষকতা রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে, মোগল আমল থেকে বৃটিশ আমল, পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশ আমলে শেখঘাট বিকশিত হয়েছে নানাভাবে। বিশেষ করে ১৩০৩ সালে সুরমা নদী পার হয়ে এই মহল্লা দিয়ে সিলেট আগমন করেছিলেন হযরত শাহজালাল (র.)। যার পুরো নাম শেখ শাহজালাল কুনিয়াত মুজাররদ। সিলেট বিজয়ের উদ্দেশ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ ও রণকৌশল নিরূপণ করা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। সুরমা নদী পার হয়ে যে ঘাট দিয়ে তিনি সিলেট অঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন পরবর্তীতে সেই এলাকার নামকরণ হয় শেখঘাট।
শেখঘাটে অবস্থানকালে তিনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সেখানে নামাজ আদায় করেন। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখতে ওই স্থানে হযরত শাহজালাল (র.) গেইট স্থাপন করা হয় ২০০৬ সালে। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান গেইটের উদ্বোধন করেন।
হযরত শাহজালালের স্মৃতিচিহ্ন অনুসরণ করে এক সময় সেখানে গড়ে উঠে মসজিদ। শুরুতে তিন গম্ভুজ বিশিষ্ট চুনসুড়কির মসজিদ ছিলো। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত হয়। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ে মানুষ, বাড়তে থাকে নামাজির সংখ্যা। সেই বাস্তবতায় দেড় বছর আগে তিনতলা মসজিদ ভেঙ্গে সাততলা বিশিষ্ট ‘শেখঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্স’ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এলাকাবাসী। বর্তমানে শাহজালাল (র.) ঘাটের পাশে অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করে আদায় করা হচ্ছে নামাজ। নতুন কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদ হবে সাততলা বিশিষ্ট। সেই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে বিশ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে পাঁচ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। নতুন মসজিদের নকশা করেছেন বিশিষ্ট স্থপতি রউফ রিয়াদ।
মসজিদ কমিটি আরো জানান, নির্মাণ কাজ শেষ হলে স্থান সংকুলান কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক মসজিদের মর্যাদা বহন করবে এ মসজিদ। চার হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন এক সাথে নতুন মসজিদে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য থাকবে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। প্রতি সিঁড়িতে থাকবে অত্যাধুনিক লিফট এবং দেড়শ’ ফুট উচু একটি মিনার। একটি আন্ডারগ্রাউন্ট পার্কিং স্পেস থাকবে মসজিদে। যেখানে এক সাথে অন্তত: ত্রিশটির অধিক গাড়ি আসা-যাওয়া করতে পারবে। মসজিদে এক সাথে প্রায় দুই শতাধিক লোক যাতে ওজু করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
মসজিদে থাকবে একটি পাঠাগার। শিশুদের মক্তব শিক্ষার পাশাপাশি তাদের জন্য পৃথক একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে, যেখানে তারা এক সাথে সময় কাটাতে পারবে। একই সাথে থাকবে শিশুদের জন্য একটি হিফজ শাখা, যেখানে দেয়া হবে কোরআন শিক্ষা। মসজিদে একটি এ্যাম্বুলেন্স পরিসেবা থাকবে। যে কোনো ব্যক্তি ওই সেবার জন্য মসজিদে যোগাযোগ করতে পারবেন। এটি এ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি মৃতদেহ বহন করার কাজেও ব্যবহার করা হবে। জানাজার নামাজের ব্যবস্থার পাশাপাশি মসজিদে মৃতদের গোসল ও সাময়িক সংরক্ষণের জন্য থাকবে একটি হিমাগার। এছাড়াও থাকবে আরো অনেক সুযোগ সুবিধা। বড় বাজেটের এ মসজিদ নির্মাণে এলাকার সকল মানুষের রয়েছে আন্তরিক সহযোগিতা। তবে, এ সহযোগিতা যথেষ্ট নয়। এজন্য হযরত শাহজালাল (র.) এর স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতা নিয়েই মসজিদের নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিতে চান মসজিদ কমিটি। কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. শফিক উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল আলমসহ এলাকার মুরব্বীরা জানান, ‘প্রায় ষোলশত পরিবারের বসবাস বৃহত্তর শেখঘাট এলাকায়। রয়েছে সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষ ছাড়াও একাধিক বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতি ওয়াক্ত নামাজে থাকে মানুষের চাপ। শুক্রবার জুমআর নামাজে প্রায় সময় অনেককে সড়কে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। এ বাস্তবতার আলোকেই মসজিদ বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। তবে, বড় বাজেটের এ মসজিদ নির্মাণে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। আমরা চাই শাহজালাল (র.) এর স্মৃতি বিজড়িত মসজিদের সাথে সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। সেই ঐতিহ্যে সবার সম্পৃক্ততা থাকলে কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে।’ তারা বলেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সহযোগিতা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এভাবে সবার ভালোবাসা আমাদের কাম্য