cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেশের অন্যতম প্রধান আম উৎপাদনকারী জে’লা নওগাঁ থেকে আম রুপালি আ’মের পর এবার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’। ইংল্যান্ডে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে তৃতীয় চালানে নওগাঁর সা’পাহার উপজে’লার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক থেকে ৫০০ কেজি ব্যানানা আম ও ৫০০ কেজি আম রুপালি আম ঢাকার শ্যামপুরে পাঠানো হয়েছে।
সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতেই নওগাঁর আ’মের এই চালান যু’ক্তরাজ্যে পৌঁছাবে। এর আগে গত ১৭ ও ২০ জুন সা’পাহার উপজে’লার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক ও রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম-এর মালিক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা দুই চালানে আম রুপালি আড়াই মেট্রিক টন ইংল্যান্ডে পাঠান। বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তিনি ইংল্যান্ডে আম রপ্তানি করেন।
সম্প্রতি দেশে আম উৎপাদনকারী অন্যতম প্রধান জে’লা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জে’লা নওগাঁ। এ জে’লায় চলতি বছর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছর ২ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
এ জে’লায় উৎপাদিত আ’মের ৬০ শতাংশই আম রুপালি জাতের আম (বারি আম-৩)। এ জন্য নওগাঁ আম রুপালি আ’মের জে’লা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। এছাড়াও দেশীয় জাত ক্ষিরসা’পাত, ল্যাংড়া, নাগফজলী, আশ্বিনা, কাটিমন, বারি আম-৪ ও হাড়িভাঙা আম চাষ হচ্ছে। দেশী প্রজাতির আম ছাড়াও বিদেশী জাতের মিয়াজাকি, থাই ব্যানানা ম্যাঙ্গো, রেড পালমা’র, টেনসিংটন প্রাইড, অস্টিন, গিলানি ও রুবি জাতের আমগাছও রয়েছে। এ জে’লার সা’পাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজে’লায় আ’মের বাগান বেশি রয়েছে।
সা’পাহার উপজে’লা কৃষি কর্মক’র্তা মুজিবর রহমান বলেন, বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম চাষের জন্য উপজে’লার ১৫ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৌসুমজুড়েই এই চাষিদের বাগানে আম উৎপাদনের প্রক্রিয়া আম’রা দেখভাল করেছি। এই চাষিদের উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম বিদেশে পাঠানোর জন্য উপযু’ক্ত। যে আম দেশের বাজারে দুই হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে সেই আম রপ্তানিকারকদের কাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন চাষিরা।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষিদের মধ্যে পত্নীতলা উপজে’লার রূপগ্রাম গ্রামের উচ্চশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানার ১০৭ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা বাগানে দেড় হাজার আম রুপালি জাতের আমগাছ আছে। তার বাগানে দেশী জাতের বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছ ছাড়াও বিদেশী জাতের মিয়াজাকি, থাই ব্যানানা ম্যাঙ্গো, রেড পালমা’র, টেনসিংটন প্রাইড, অস্টিন, গিলানি ও রুবি জাতের আমগাছ রয়েছে। আমা’র জানা মতে, বাংলাদেশ থেকে তিনিই প্রথম ব্যানানা আ’মের রপ্তানির সুযোগ পেলেন।
সোহেল রানা বলেন, বিদেশে রপ্তানির জন্য তার বাগানে এ বছর আম রুপালি, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, কাটিমন, বারি আম-৪ ও মিয়াজাকি জাতের গাছের আ’মে ফ্রুট ব্যাগিং করেছেন। কারণ, রোগবালাইমুক্ত আমই বিদেশে যায়। এরপরও যেসব আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে সেগুলো ঢাকায় পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষার মাধ্যমে আ’মে কোনো রোগবালাই বা কী’টনাশক আছে কি না, তা নিশ্চিত করা হয়। এরপর তা বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) ফল ও উদ্যান গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মক’র্তা ড. শরফ উদ্দিনের সহযোগিতায় গত ১৭ জুন এক মেট্রিক টন (এক হাজার কেজি) ও ২০ জুন আরও দেড় মেট্রিক টন আম রুপালি আম কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিদেশে পাঠাতে পেরেছেন তিনি। তৃতীয় চালান নিয়েও ঝামেলা হবে না বলে তিনি মনে করেন। লন্ডনের একজন ক্রেতা আমগুলো আমা’র থেকে নিচ্ছেন। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি আম বিক্রি করে থাকেন। এ বছর আরও প্রায় ৫-৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে পারবেন। যু’ক্তরাজ্য ছাড়াও ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম পাঠানোর জন্য তিনি অর্ডার পেয়েছেন।
বারির ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মক’র্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, আম রপ্তানির জন্য কৃষকদের তিনটি শর্তপূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো- যে জাতেরই হোক বা স্বাদ যেমনই হোক না কেন আম দেখতে সুন্দর হতে হবে। এছাড়া রোগবালাইমুক্ত ও বালাইনাশকমুক্ত আম হতে হবে। যথাযথ নিয়মে আম সংগ্রহের ৪০ থেকে ৬০ দিন আগে বালাইনাশক স্প্রে বন্ধ করে দিয়ে আ’মে ফ্রুট ব্যাগিং করলে কৃষকদের এসব শর্ত পূরণ করা সম্ভব।